জ্বর থেকে সেরে উঠায় লিটন দাসকে পাকিস্তান পাঠাচ্ছেন নির্বাচকরা। আজ রাতেই দোহা হয়ে পাকিস্তান যাবেন ডানহাতি ওপেনার। কিন্তু লিটন পাকিস্তান যাচ্ছেন শুনে অবাক হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজুমল হাসান পাপন।
উল্টো গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে জানতে চাইলেন, কিভাবে পাকিস্তান যাচ্ছে লিটন? এসিসি’র অনুমোদন পেল কিভাবে?’
নাজমুল হাসানের এমন বিস্ময়কর আচরণে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরাও দ্বিধায় পড়ে যান। জ্বরের কারণে এশিয়া কাপ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় লিটন দাসকে। দলের সঙ্গে তার সফর করার কথা থাকলেও যেতে পারেননি। তার জন্য তিনদিন অপেক্ষার পর এনামুল হক বিজয়কে শ্রীলঙ্কা উড়িয়ে নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এশিয়া কাপ খেলতে লিটন এখন পুরোপুরি ফিট। এজন্য তাকে সুপার ফোরের ম্যাচ খেলাতে উড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু চাইলেই তাকে খেলানো যাবে না। এজন্য এসিসির টেকনিক্যাল কমিটির অনুমতি লাগবে। দলের কোনো ক্রিকেটার ইনজুরিতে পড়লেই তার জায়গায় নেওয়া যাবে লিটনকে।
কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায় এবং কাকে বাদ দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে এসিসি’র সঙ্গে এখনো কোনো সমঝোতা হয়নি। এসিসি’র মতামতের অপেক্ষায় বিসিবি। তাই লিটনকে প্রস্তুত রাখতে আগেভাগে তাকে উড়িয়ে নেওয়া।
তবে এসব নিয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু বলতে চাইছে না বোর্ডের কেউ। নির্বাচকরাও মুখে কলুপ এঁটেছেন। বিকেলে নাজমুল হাসান পাপনও কিছু না জানার কথা বললেন। ধারনা করা হচ্ছে, যেহেতু এসিসি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে লিটনের অন্তর্ভূক্তি অনুমোদন দেয়নি, সেজন্য বোর্ডও আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে চাইছে না।
নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘যাচ্ছে? (লিটন)। এখানে তো নির্বাচকরাও এসেছিল। ওরাও তো...কীভাবে যাবে? অনুমোদন (বিসিবি সভাপতির) ছাড়াও তো ব্যাপার আছে। এসিসি’র অনুমোদন তো লাগবে। আমি আসলে এই জিনিসটা, আমার কাছে একদম... (অবাক)।’
বিসিবি সভাপতির ব্যক্তিগত অফিস ধানমন্ডিতে আজ হাজির হয়েছিলেন দেশে থাকা দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন। বিশ্বকাপের দল নিয়ে আজ বৈঠক করেছেন তারা। সেই বৈঠকেও লিটনকে নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলে দাবি করলেন নাজমুল হাসান, ‘আমার সঙ্গে আজ অধিনায়ক, কোচ ওখানে রাজ্জাক আছে, জালাল ভাই আছে; ওদের সঙ্গে কথা হয়েছে। কেউ আমাকে বলেনি। এটা সামথিং নিউ।’