ইনজুরিতে থাকায় কেন উইলিয়ামসন বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি। তাতে তার দলের কোনো সমস্যাই হয়নি। উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দেওয়ার পর নেদারল্যান্ডস তাদের সামনে পাত্তা হয়নি।
দারুণ পেশাদারিত্ব দেখিয়ে, মাঠে তুখোড় পারফর্ম করে গতবারের রানার্সআপরা এবারের মিশন শুরু করেছে। উইলিয়ামসনকে ছাড়াই তাদের যে পারফরম্যান্স তা রীতিমত বিস্ময়কর। এমন দলে উইলিয়ামসনের জায়গা কোথায় তা নিয়েই যত চিন্তা। কিন্তু কিউই অধিনায়ক তো ফিরবেন। আর ফিরবেন তাদের তৃতীয় ম্যাচেই। যেখানে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। শুক্রবার চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে মুখোমুখি দুই দল।
গত বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হওয়া উইলিয়ামসন বুধবার নেটে ঘাম ঝরিয়েছেন। ব্যাটিংয়ে দারুণ ছন্দ দেখিয়েছেন। প্রচুর অ্যাফোর্ট দিয়েছেন। তার এই ব্যাটিং স্কিল নিয়ে কোনো সংশয় নেই কিউই শিবিরে। যত চিন্তা ফিটনেস নিয়ে। ফিল্ডিংয়ে কেমন করেন সেটা নিয়েই ভাবনা। মাঠে নামলে শতভাগ উজার করে দেবেন তা বলতে দ্বিধা নেই। এজন্য তাকে আরও একটি ম্যাচে বিশ্রাম দেবে নাকি সেটাও চিন্তার। সামনের ২৪ ঘণ্টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন দলের পেস বোলিং কোচ শেন জার্গেনসন।
বুধবার অনুশীলনের ফাঁকে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জার্গেনসন বলেছেন, ‘সে ভালো উন্নতি করছে। আরও কিছুদিন তাকে অনুশীলনে সময় দিতে হবে। সে আজ বেশ প্রাণবন্ত ব্যাটিং করেছে। বেশ ভালো উন্নতি করছে। সে নিজেকে এমন অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে যেখানে থেকে সে ম্যাচ খেলার জন্য অ্যাভেইলেভেল থাকে। সেজন্য আমরা তাকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এখনও আমাদের হাতে একদিনের সময় আছে। আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টা দেখব সে কতটা উন্নতি করতে পারে। সে ব্যাটিং করবে এবং ফিল্ডিং করবে। দেখা যাক কি হয়।’
পরবর্তীতে এক প্রশ্নের উত্তরে জার্গেনসন যোগ করেন, ‘সে বেশ সুন্দরভাবেই ব্যাটিং করেছে। স্কিলের দিক থেকে বিবেচনা করলে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে লম্বা সময়ের জন্য সে ভালো করে আসছে। সে আজও সেই ছাপ রেখেছে ব্যাটিংয়ে। আমরা এখন তার ফিটনেস নিয়ে কাজ করছি। সে যদি আগামীকাল ব্যাটিং করে এবং ফিল্ডিংয়ে কিভাবে দৃঢ়তা দেখায় সেটা দেখার অপেক্ষায়।’
মাঠে ফেরার তাড়ণায় নিজেকে এমনভাবে প্রস্তুত করছেন উইলিয়ামসন তা এক কথায় অভাবনীয়, ‘ফিটনেস নিয়েই তার বেশি কাজ করা হচ্ছে যখন থেকে সে ইনজুরিতে পড়েছে। সেজন্য সে কষ্ট করে যাচ্ছে। বিশ্বকাপে খেলার জন্য নানা উপায়ে সে কাজ করে যাচ্ছে।’- বলছিলেন জার্গেনসন।
চেন্নাইয়ের এই মাঠ আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংসের হোম গ্রাউন্ড। যে দলের কোচ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন স্টিফেন ফ্লেমিং। পাঁচটি শিরোপাও জিতেছেন। ফ্লেমিং কিছুদিন আগে নিউ জিল্যান্ড দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কাজ করেছেন টিম ম্যানেজমেন্টের হয়ে। এই ম্যাচে তার ছায়াতেই দল থাকবে এমনটাই বিশ্বাস কিউই শিবিরে। তার অভিজ্ঞতা দল ভাগাভাগি করেছে বলেই খবর, ‘কোনো সন্দেহ নেই স্টিভেন ফ্লেমিংকে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে করিনি। গ্যারি এবং বাকি সিনিয়র ক্রিকেটাররা নিশ্চয়ই কথা বলেছে। কোনো সন্দেহ নেই তার অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য দারুণ হবে। সে দারুণ মানুষ এবং তার ঝুলিতে চেন্নাইয়ের হয়ে বেশ সাফল্য আছে।’