খেলাধুলা

ভারতের বিপক্ষে একাদশে পরিবর্তন আসছে

ব্রিটিশ আর্কিটেকচার হপকিংস ওভালের ‘বৌল’ স্টেডিয়ামের আদলে বানিয়েছেন মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম। এক দশমিক পঞ্চাশ বিলিয়ন ডলারের এই স্টেডিয়াম চালু হয় ২০১১ সালের পহেলা এপ্রিল। আগামীকাল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে স্টেডিয়ামের বিশ্বকাপযাত্রা। স্টেডিয়াম চালুর সময় তার চাওয়া ছিল একটাই, ‘মাঠে যেন রান হয়। উৎসব ছড়ায়।’

স্টেডিয়ামের ১৫ উইকেটের সবকটিই রানপ্রসবা, ব্যাটসম্যানদের স্বর্গরাজ্য। কালো মাটির পিচ বল ভালোভাবে ব্যাটে আসে এবং ঠিকঠাক পরিমাণ বাউন্সও করে। বাউন্ডারি ছোট এবং দ্রুত গতির হওয়ায় ম্যাচে প্রচুর চার-ছক্কা দেখা যায়। যেখানে গড় রান ৩০৭। বাংলাদেশকে ভয় দেখাতে এই মাঠে বিরাট কোহলির ব্যাটিং গড় যথেষ্ট।

বিশ্বকাপে নিজের অভিষেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পাওয়া এই ব্যাটসম্যান পুনেতে ১২ আন্তর্জাতিক ম্যাচে রান করেছেন ৬৯.২৭ গড়ে। রয়েছে তিন সেঞ্চুরি যা এই মাঠে সর্বোচ্চ। ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের ম্যাচেও রান উৎসব হবে। ছোট বাউন্ডারি ও রান প্রসবা উইকেট, এমন কন্ডিশনে বাংলাদেশের জন্য আদর্শ কম্বিনেশন কেমন হতে পারে? কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছেই সরাসরি জানতে চাওয়া হয়েছিল। উত্তরে কোচ জানালেন, বাড়তি একজন বোলার খেলানোর কথা চিন্তা করছেন তিনি।

‘এই ধরণের উইকেটে খেলার জন্য আদর্শ কম্বিনেশন হচ্ছে, বাড়তি একজন বোলার নিয়ে খেলা। কারণ, এখানের উইকেট খুব ভালোমানের হয়। সঙ্গে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ বেশ লম্বা। এজন্য আমরা একজন বাড়তি বোলারের কথা চিন্তা করছি।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি করে পরিবর্তন করে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ড্রপ করে মাহেদী হাসানকে খেলিয়েছিল দল। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আবার মাহমুদউল্লাহকে দলে এনে মাহেদীকে ড্রপ করে। ভারতের বিপক্ষে একাদশ কেমন হতে পারে সেটা নিয়ে চলছে জল্পনা।

দলের অনুশীলন দেখে ধারণা করা হচ্ছে স্পিনার মাহেদী হাসান আবার দলে ঢুকতে পারেন। ওপেনিংয়ে তানজিদ হাসান তামিমকে এই ম্যাচ থেকে সরাতেও পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে লিটনের সঙ্গে মিরাজ ওপেনিংয়ে। আর যদি তানজিদ টিকে যান তাহলে শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহকে ড্রপ দিয়ে মাহেদীকে ঢুকাতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।

ম্যাচ-আপ ভাবনায় টিম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আসতে পারেন নাসুম আহমেদকেও। মাহেদী ও নাসুম দুজনই ভারতের বিপক্ষে শেষ মুখোমুখিতে ভালো করেছিলেন। দলে থাকার দাবি তারা রাখতেই পারেন। হাথুরুসিংহের নজর আছে তাদের দিকেও, ‘তারা ভারতের বিপক্ষে ভালো করেছে শেষ ম্যাচে। আমরা অবশ্যই সেটা বিবেচনায় আনবো। তারা যদি ভারতকে হারানোর উপায় জেনে থাকে অবশ্যই তাদের কথা শুনবো।’

উইকেট নিয়ে হাথুরুসিংহের মূল্যায়ন, ‘এই উইকেট সম্ভবত এখন পর্যন্ত আমাদের পাওয়া ভারতের সেরা ব্যাটিং উইকেট। ম্যাচ উইকেটের সঙ্গে অনুশীলন উইকেটের তেমন পার্থক্য দেখি না। খুবই ভালো। আমরা ভালো নেট সেশন কাটিয়েছি গতকাল। এখানে আমাদের ব্যাটসম্যানদের থেকে বড় কিছুর প্রত্যাশা করতে হবে। একদম পরিপূর্ণ পারফরম্যান্স। আমরা যখন এক দল হয়ে খেলি, পারফর্ম করি তখন বড় দলগুলোকে হারাতে পারি। পূর্বেও সেটা করে দেখিয়েছি। ফিঙ্গার ক্রস। বাকেয়া পারফরম্যান্স শোধ করার পালা।’