৩টা ৪৯ মিনিট: সাকিব আল হাসানের বলে আউট সাদিরা সামারাবিক্রমা। ৩টা ৫৪ মিনিট: অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ আউট।
পাঁচ মিনিটের বিরতি। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে কোনো বল হলো না। তবুও আউট! ‘সময় নষ্ট করায়’ শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান ম্যাথুজকে আউট দিয়েছেন আম্পায়াররা। ক্রিকেটের আইনে যে আউটের নামকরণ করা হয়েছে ‘টাইমড আউট’। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম টাইমড আউট দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দিয়ে ম্যাথুজ টাইমড আউট হন।
টাইমড আউট নিয়ে এমসিসি’র আইন যা বলছে, ‘উইকেটের পতন বা একজন ব্যাটসম্যান রিটায়ার্ড হওয়ার পর, নতুন ব্যাটসম্যানকে, সময় না বলা পর্যন্ত, বল খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বা অন্য ব্যাটসম্যানকে আউট হওয়ার ২ মিনিটের মধ্যে পরবর্তী বল গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এই প্রয়োজনীয়তা পূরণ না হলে, নতুন ব্যাটসম্যান আউট হবেন, টাইমড আউট।’
সামারাবিক্রমা আউট হলে নির্ধারিত সময়ের ভেতরেই মাঠে ঢুকে ক্রিজে চলে যান ম্যাথুজ। ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুতও ছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক। কিন্তু হেলমেট ঠিক করতে গেলে তার স্ট্রাপ ছিঁড়ে যায়। ড্রেসিংরুমে ইঙ্গিত করে নতুন হেলমেট আনতে বলেন। কিন্তু তার কথা আমলে না নিয়ে সাকিব ও বাংলাদেশ টাইমড আউটের আবেদন করে। দুই আম্পায়ার এরপর কথা বলে ম্যাথুজকে আউট দেন।
ক্রিকেটের নিয়মে এই আউট থাকায় বেশিকিছু বলার থাকে না। আউট তো আউটই।
বাংলাদেশ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও এমন কিছুর সুযোগ পেয়েছিল। মুজিব উর রহমান ব্যাটিংয়ে সময় অ্যাবডোমিনাল গার্ড আনতে ভুলে যান। ক্রিজে যাওয়ার পর টের পেলে ড্রেসিংরুম থেকে অ্যাবডোমিনাল গার্ড আনান। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তখন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। বরং প্রায় প্রত্যেকেই হাসিমুখে পরিস্থিতি উপভোগ করছিলেন। সেদিন ২ মিনিটেরও বেশি সময় নষ্ট হয়েছিল। কিন্তু কোনো আবেদনই বাংলাদেশ করেনি।
ধর্শশালা থেকে দিল্লি, প্রায় একই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের দুই রূপ! দিল্লিতে আজ যা হলো তা অবৈধ নয় মোটেও। তবে ধর্মশালায় সেদিন কেন আবেদন করেনি, সেটাই বড় প্রশ্ন।