খেলাধুলা

বলে ফিলিপসের লালা ব্যবহার, আম্পায়ারকে জানিয়েছে বাংলাদেশ

সংবাদ সম্মেলনের চেয়ার থেকে উঠে যাচ্ছিলেন মুমিনুল হক। পাশে থাকা ম্যানেজার বললেন, ‘আরেকটি প্রশ্ন আছে।’ মুমিনুল আবার বসলেন। মুমিনুলের সাত মিনিটের সংবাদ সম্মেলনের সবশেষে উঠল ওই ঘটনা। প্রশ্নকর্তা জানতে চাইলেন, নিউ জিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস বলে দুইবার লালা ব্যবহার করেছেন। এটা এখন নিষিদ্ধ। আপনারা অবগত কিনা। অবগত হলে আম্পায়ারদের জানানো হয়েছে কিনা?’

ম্যানেজার নাফিস ইকবালের কাছ থেকে শুনে মুমিনুল জানালেন, হ্যাঁ জানানো হয়েছে। কিন্তু পরক্ষণেই বললেন, ‘এটা বড় ইস্যু না।’ কিন্তু সাবেক টেস্ট অধিনায়ককে যখন মনে করিয়ে দেয়া হল, আম্পায়ার চাইলে ৫ রান পেনাল্টি দিতে পারেন। তখন সুর পাল্টে মুমিনুল বলেন, ‘৫ রান পেনাল্টি! তাহলে বড় ইস্যু।’

মুখে হাসি নিয়ে মুমিনুল বেরিয়ে যান সংবাদ সম্মেলন থেকে। এরপর নাফিস ইকবাল বলেছেন, ‘৩৩.১ ওভারে ঘটনা ঘটে। ফিলিপস বলে লালা ব্যবহার করে। একবার ব্যবহার করেছিল। আরেকবার লালা নিয়ে ব্যবহার করেনি। আমি চতুর্থ আম্পায়ারকে বিষয়টি অবহিত করেছি আনুষ্ঠানিকভাবে।’ ফিলিপসের লালা ব্যবহারের দৃশ্য টিভির পর্দায় দেখা যায়। কিন্তু মাঠের দুই আম্পায়ার আহসান রাজা ও পল রাইফেলের নজরে আসেনি। কোভিডের পর পরবর্তিত পরিস্থিতিতে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। এর আগে এটা ছিল নিয়মিত দৃশ্য। স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা মাথায় নিয়ে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। সেই নিষেধাজ্ঞাই পরে নিয়মিত করা হয়। ক্রিকেটের আইনের ৪১.৩ ধারা হালনাগাদ করা হয়েছে এবং গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ মহামারির পর যখন ক্রিকেট আবার শুরু হয়েছিল, তখন এই খেলার শর্তগুলোর মধ্যে লিখিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, বলে লালা ব্যবহারের অনুমতি আর নেই। এমসিসির (ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা সংস্থা) গবেষণায় দেখা গেছে যে, বোলাররা যে পরিমাণ সুইং পান, সেটার ওপর লালার প্রভাব সামান্য বা কোনো প্রভাব নেই। খেলোয়াড়রা বল চকচকে করার জন্য যে ঘাম ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। নতুন আইন অনুসারে, বলের ওপর লালা ব্যবহারের অনুমতি আর নেই।’

নিউ জিল্যান্ডের পেসার কাইল জেমিনসনের এমন ঘটনায় চোখ এড়িয়ে গেছে। তারও জানা ছিল না, ফিলিপস বলে লালা ব্যবহার করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন,‘না আমি বিষয়টি জানি না। ৩৫ সেকেন্ড আগে ঘটনাটি শুনেছি। আসলে কোনো ধারনা নেই কি হয়েছে। কখন হয়েছে কিংবা কি দেখা গেছে। আমি নিশ্চয়ই গিয়ে ফুটেজটি দেখবো।

আনুষ্ঠানিকভাবে আম্পায়ারদের বিষয়টি জানানোয় ম্যাচ রেফারির অনুমতিক্রমে ম্যাচের যে কোনো সময় চাইলে পেনাল্টি দিতে পারেন অফিসিয়ালরা। সিদ্ধান্তটা একেবারেই তাদের কোর্টে।