মিরপুর শের-ই-বাংলার আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরছে অবিরত। কখনো হালকা আবার কখনো ঝুম, বন্ধ হয়নি মিনিট খানেকের জন্যও। আগের দিন যে উইকেট ঢাকা হয়েছে কাভারে, সেটা সরানোর প্রয়োজন কিংবা পরিস্থিতি হয়নি একবাও। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির পেটে চলে যায় ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন।
বৃষ্টির প্রকোপ বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনের খেলার ইতি ঘোষণা করেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। এর আগে মাঝে একবার পর্যবেক্ষণের জন্য নেমেছিলেন তারা। এরপর আর নামতে হয়নি, বৃষ্টিই বার্তা দিয়ে দিয়েছে আজ খেলার দিন নয়!
এমন বৃষ্টিস্ন্যাত দিনে ব্যাট-বল দূরে রেখে আড্ডা আর খোশ-গল্পে মেতেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। সবকিছুর মাঝে ব্যতিক্রম থাকে, এখানেও ছিল। শুধু খোশ-গল্পে দিনটি অপচয় করতে চাননি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও একাদশে না থাকা সাদমান ইসলাম। দুজনে ইনডোরে নিজেদের ঝালিয়ে নেন বেশ কিছুক্ষণ ধরে।
মুশফিক-সাদমান অনুশীলন করলেও শান্তরা ছিলেন ড্রেসিংরুমে। কারও হাতে ধোঁয়া ওঠা কফির মগ, কারও সামনে ফলের বাটি। এসব নিয়ে নিজেদের মধ্যে গল্পে শান্তরা দিন পার করেন।
বৃষ্টি হলেও কিছু সংখ্যাক দর্শকও এসেছিলেন মাঠে। শিক্ষার্থীদের দেখা গেছে বেশ সরব। কিন্তু বৃষ্টির অবিরাম ঝরায় শেষ পর্যন্ত তাদের আশাহত হতে হয়েছে। আশাহত হয়েছেন তামিম ইকবালও। দ্বিতীয় দিনও আসেন ধারাভাষ্য দিতে। কিন্তু, বৃষ্টি আর তা হতে দিলো কই।
প্রথম দিন বাংলাদেশ টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৭২ রানে অলআউট হয়। জবাবে প্রথম ইনিংস খেলতে নেমে আরও বিপাকে পড়ে নিউ জিল্যান্ড। ৫৫ রান তুলতে কিউইরা হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। বাংলাদেশ শিবিরে ফিরে স্বস্তি।
প্রথম দিন ১৫ উইকেট পড়ায় প্রশ্ন উঠে এই টেস্ট কয়দিন গড়াবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধি হয়ে আসা মেহেদী হাসান মিরাজকেও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। বৃষ্টি এসে যেন মুখ রক্ষা হলো, এখন এটি গড়াতে পারে চতুর্থ দিন কিংবা পঞ্চম দিন পর্যন্ত!