খেলাধুলা

শিবলির সেঞ্চুরিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে আগেই এক পা দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। আজ বুধবার নিজেদের শেষ ম্যাচে আশিকুর রহমান শিবলির সেঞ্চুরিতে ভর করে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে নাম লেখায় যুবারা।

অন্যদিকে দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিলো লঙ্কান যুবারা। তাদের পেছনে ফেলে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবারা।

আজ দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৯৯ রান তোলে। জবাবে শিবলির অপরাজিত ১১৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৪০.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান করে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

শিবলি আগের দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৭১ ও ৫৫* রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তিন ম্যাচে তার মোট রান এখন ২৪২। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহদের তালিকায় আছেন শীর্ষে। ১৮১ রান নিয়ে তার পেছনে আছেন পাকিস্তানের আজান আওয়াইস।

রান তাড়া করতে নেমে ১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শূন্যরানে ফেরেন জিশান আলম। সেখান থেকে শিবলি ও মো. রিজওয়ান মিলে ৭৪ রানের জুটি গড়েন। রিজওয়ান ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩২ রান করে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।

এরপর শিবলি ও আরিফুল ইসলাম তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন দলীয় সংগ্রহে। ১৩২ রানের মাথায় আরিফুল ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ১৮ রান করেন তিনি। এরপর চতুর্থ উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়েন শিবলি ও আহরার আমিন। ১৯২ রানের মাথায় আহরার ফিরেন ১ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান করে। এর মধ্যে শিবলি তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১১৯ বলে ৯টি চার ও ২ ছক্কায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগারে পৌঁছান তিনি।

শেষ পর্যন্ত ১১টি চার ও ২ ছক্কায় ১১৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। বল হাতে শ্রীলঙ্কার গুরুকা সংকেত ৫৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।

তার আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। নিয়ন্ত্রিণ বোলিং করে নিয়মিত বিরতিতে তাদের উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের বোলাররা। তাতে লঙ্কান যুবারা বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি। ফলে তাদের রানও খুব বেশি আগায়নি।

ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন পুলিন্দু পেরেরা। ২৫টি করে রান আসে অধিনায়ক সিনেথ জয়াবর্ধনে ও বিশ্ব লাহিরুর ব্যাট থেকে। এছাড়া রুসান্দা গামাগি ২৪, শারুঞ্জন ২১, রবিশান ডি সিলভা ২১, দিনুরা কালুপাহানা ২০ ও রুভিশান পেরেরা ১৯ রান করেন।

বল হাতে বাংলাদেশের ওয়াসি সিদ্দিকী ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩২ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া মারুফ মৃধা ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন রোহানাত দৌল্যা বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবন।