লিংকনে দারুণ একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ দল পৌঁছেছে প্রথম ওয়ানডের ভেন্যু ডানেডিনে। সেখানে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের দেওয়া হয়েছে উষ্ণ অভ্যর্থনা। সেই অভ্যর্থনা পেয়ে উচ্ছ্বসিত নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘এটি দারুণ। আমরা গত কয়েক বছর ধরে এখানে খেলছি। এবার নতুন অভিজ্ঞতা হলো। কিছুক্ষণ আগে আমাদের অসাধারণভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে। ছেলেরা উপভোগ করছে।’
প্রস্তুতি ম্যাচে ২৬ রানের জয়ে নিউ জিল্যান্ড সফর শুরু করে বাংলাদেশ। একদিন বাদেই ডানেডিনে শুরু হবে আসল লড়াই। গত বছর ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের স্মৃতিচারণ করে শান্ত ঘোষণা দেন এবার তাদের লক্ষ্য দুটি সিরিজই জেতা।
‘সত্যি বলতে, দল হিসেবে আমরা সিরিজ জিততে চাই। আমাদের দলটা বেশ ভালো। যেমনটা বললেন, গত বছর এখানে আমরা একটি টেস্ট জিতেছি। এবার আমাদের লক্ষ্য, এই দুই সিরিজ জেতা। যদি জিততে পারি, আমাদের দলের জন্য দারুণ হবে।’
তবে শান্তদের জন্য বিষয়টা হবে অত্যন্ত কঠিন। এখন পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে ১৬টি ওয়ানডে খেলে প্রত্যেকটিতেই হারতে হয়েছে। একই হাল টি-টোয়েন্টিতেও। ৯টি ম্যাচ খেলে হারের স্বাদ নিয়ে ফিরতে হয়েছে প্রত্যেকটি ম্যাচে।
শান্তরা থাকতে চান বর্তমানেই। কিউইদের পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে আলাদা আলাদা পরিকল্পনা করে তাদের বিরুদ্ধে নামতে চায় বাংলাদেশ, ‘আমরা বেশিরভাগ ক্রিকেটারকেই চিনি। কয়েকজন অবশ্য একদমই নতুন। আমাদের কাছে তাদের খেলার ফুটেজ আছে। দলীয় আলোচনার সময় আমরা সেসব দেখব। আশা করছি, ভালো পরিকল্পনা সাজিয়ে মাঠে নামতে পারব।’
সঙ্গে আছে প্রস্তুতি ম্যাচে দুর্দান্ত খেলার সুখস্মৃতি। বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করে ৩৩৪ রান করে। তাড়া করতে নেমে ৩০৮ রানে অলআউট হয় নিউ জিল্যান্ড একাদশ। ব্যাটে-বলে প্রায় সবারই অবদান ছিল। খেলেছেন দলগতভাবে। সেটিই তারা কাজে লাগাতে চান মূল ম্যাচে।
‘আমার মতে, ছেলেরা (প্রস্তুতি ম্যাচে) খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। উইকেট খুব ভালো ছিল। প্রস্তুতির দিক থেকে সবাই নিজের কাজ করছে। নিউ জিল্যান্ড একাদশও ভালো ক্রিকেট খেলেছে। এটি দারুণ একটি প্রস্তুতি ম্যাচ হয়েছে। ছেলেরা এই সিরিজের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী’ -বলছিলেন শান্ত।
১৭ ডিসেম্বর ডানেডিনে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। ২০ ও ২৩ ডিসেম্বর নেলসন-নেপিয়ারে হবে বাকি দুই ম্যাচ। ২৭ ডিসেম্বর নেপিয়ারে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বাকি দুটি ম্যাচ হবে ২৯ ও ৩১ ডিসেম্বর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে।