খেলাধুলা

‘একজন খেলোয়াড় হয়ে আরেকজনকে সাপোর্ট করব’-সৌম্যর সমর্থনে বিজয়

জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনে আরও একবার ব্যর্থ সৌম্য সরকার। নিজেই প্রশ্নবাণের সুযোগ করে দিলেন সমালোচকদের জন্য। বল হাতে খরুচে, ব্যাট হাতে শূন্য। দুই দিক থেকেই প্রতিদানের বদলে সৌম্য উপহার দিয়েছেন একরাশ তিরস্কার। 

তবে এরপরও সৌম্যর পাশে থাকার আকুন্ঠ সমর্থন জানালেন দলের ডামি ব্যাটার এনামুল হক বিজয়, ‘একজন খেলোয়াড়কে নিয়ে আরেক খেলোয়াড়ের মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না। আমি মনে করি ম্যানেজমেন্ট ভালো বুঝবে। একজন খেলোয়াড় হয়ে আরেকজনকে সাপোর্ট করব। এটা একদম ভেতর থেকে আসে, যেই আসুক।’

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা বিজয় সৌম্যকে একপেশে সমর্থন জানিয়ে আরও বলেন, ‘সবাই তাকে পুরো সাপোর্ট দেবে। খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিটা খেলোয়াড়কে সমর্থন দেয়া আমাদের দায়িত্ব ।’ 

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ডানেডিনে রোববার প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশ হেরেছে ৪৪ রানে। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২৩৯ রান তোলে নিউ জিল্যান্ড। তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ থামে ২০০ রানে। বৃষ্টি আইনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪৫।     

সৌম্য বল হাতে ছয় ওভারে দেন ৬১ রান। প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান দেওয়া এই মিডিয়াম পেসার পরের পাঁচ ওভারে দিয়েছেন ৫৯ রান! যেখানে এগারোর বেশি ইকোনমি। 

আর ব্যাট হাতে যা করেছেন তা এর আগে তিনি নিয়মতিই করে আসছেন। প্রথম ওভারে অ্যাডাম মিলনের আউট সাইড লেগে পিচ করা বল বেরিয়ে যাচ্ছিলো অফ দিয়ে। খোঁচা দিয়ে বসেন সৌম্য। তাতেই ইনিংসের চতুর্থ বলে খালি হাতে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। 

কার্টেল ওভারে খেলা হওয়ায় বোলিং পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সমস্যায় ভুগেছে বাংলাদেশ। অনিয়মিত বোলারদের দিয়ে বোলিং করাতে গিয়ে দিতে হয়েছে খেসারত। আছে ক্যাচ মিসের মতো ঘটনাও। সব মিলিয়ে ব্যাটে-বলে বাজে দিন গিয়েছে বাংলাদেশের। 

পরিকল্পনার ঘাটতি নিয়ে বিজয় বলেন, ‘আরেকটু পরিকল্পনা করে আমরা সাজাতে (দল) পারতাম। আমরা যদি আরেকটু ধৈর্য্য ধরতাম, আরেকটু লম্বা সময় ক্রিজে থাকতাম তাহলে আমার কাছে মনে হয় দৃশ্যপটটা ভিন্ন হতে পারতো। যদি শেষ ৫ ওভারে ৫০ রানও লাগতো আমরা ম্যাচটাকে বের করে আনতে পারতাম।’

ম্যাচে সর্বোচ্চ রান এসেছে বিজয়ের ব্যাট থেকে। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। থিতু হয়ে তার আউটের দায় নিজেই নিলেন তিনি, ‘আমাদের অনেক ভালো সুযোগ ছিল, আমরা ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে একটা ছন্দও পেয়েছিলাম, ব্যাটিং ভালো হয়েছে, সবার মাঝে মানসিকতা ছিল যে আমরা ম্যাচ জিততে পারব। অবশ্য দোষটা আমি নিতে চাই যে ভুল আমি করেছি।’