খেলাধুলা

ব্যর্থ হয়ে যে ‘শিক্ষা’ পেয়েছেন বিজয়

ক্লার্কসন কোনোদিনই হয়তো এনামুল হক বিজয়কে ভুলবেন না। বিজয়কে দিয়েই যে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের উইকেটের খাতা খুলেছেন এই পেসার। নিজের অভিষেক ম্যাচে এক্সট্রা বাউন্সে পরাজিত করেন বিজয়কে। ক্রিজে থিতু হয়ে পুল করতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দেন বাংলাদেশের ওপেনার।

দারুণ খেলতে থাকা বিজয়ের আউটে ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশেরও। শেষ পর্যন্ত হার ঠেকাতে পারেননি পরের ব্যাটাররা। সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা বিজয়ের এ নিয়ে আফসোস যেন যাচ্ছেই না, ‘আজকে আমি সেট হয়েছি, ইনিংস বড় করতে পারিনি আফসোস হচ্ছে। কিন্তু পরবর্তীতে যখন সুযোগ পাবো এটা যেন বড় করতে পারি।’

ডানেডিনে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বিজয়। তিনি ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। তার আউটের পর ২৩ রানের ব্যবধানে লিটন দাস-মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর আফিফ হোসেন-তাওহীদ হৃদয় ফিফটির জুটি গড়লেও ইনিংস লম্বা না হওয়ায় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। 

বিজয় জানান থিতু হয়ে ইনিংস বড় করার শিক্ষা তিনি পরের ম্যাচে কাজে লাগাবেন। একইভাবে তার সতীর্থরাও যেন এ বিষয়ে খেয়াল রাখে, ‘একই শিক্ষাটা কিন্তু অন্য ব্যাটারদেরও। হয়তো লিটন সেট হবে, শান্ত সেট হবে কিংবা সৌম্য সেট হবে, তারা যদি সুযোগটা পায় তাহলে যেন বড় করতে পারে।’ 

বিজয়ের মতো অভিজ্ঞ লিটনও বাউন্সে পরাস্ত হয়েছেন। বিজয় বলছেন শারীরিকভাবে কিউই পেসাররা লম্বা হওয়ায় তারা সুবিধা পাচ্ছেন। বাংলাদেশ এর সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিবে বলেও প্রত্যাশা করছেন তিনি। 

বিজয় বলেন, ‘কিন্তু আশা করছি, আমরা এটাকে মানিয়ে নিতে পারব খুব তাড়াতাড়ি। আরও দুই দিন প্র্যাকটিসের সুযোগ আছে। আমরা নিজেদেরকে ট্রেইন করব বা চিন্তা করব কিভাবে খেলা যায়। বাট আশার কথা হলো আমাদের ক্যামব্যাক করার সুযোগ আছে।’