সৌম্য সরকার কেন বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন, কেন তিনি পারছেন না সেটা যেন বুঝতেই পারছেন না বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সাকিব আল হাসানের পরিবর্তে তাকে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলানো হচ্ছে, কিন্তু বিপরীতে সৌম্যর আউটপুট শূন্যই বলা যায়।
অলরাউন্ডার হিসেবে ডানেডিনে প্রথম ওয়ানডের একাদশে ছিলেন সৌম্য। বল হাতে ৬ ওভারে ৬১ রান আর ব্যাট হাতে শূন্য। সবমিলিয়ে দলে অন্তর্ভূক্তি সৌম্য যেন নিজেই নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন।
নেলসনে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে সৌম্যর পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হাথুরুসিংহে রাখডাক না রেখে জানান, তার সমস্যা কোথায় তিনি জানেন না।
‘আমি শেষ ৫ ম্যাচে সৌম্যর খেলা দেখিনি, কি হয়েছে আসলে জানিনা। শুধু শেষ ম্যাচটাই দেখেছি। আমি জানিনা সৌম্যর সমস্যা কি। ও ঘরোয়াতে প্রচুর রান করছিলো’ -বলছিলেন হাথুরুসিংহে।
তবে সৌম্য ঘরোয়াতে ‘প্রচুর’ রান করে জাতীয় দলে আসেননি। বলা যায় টিম ম্যানেজম্যান্টের সুদৃষ্টি দলে অন্তর্ভূক্তি সহজ করে দিয়েছে। সম্প্রতি ঘরোয়াতে তার পারফরম্যান্সে চোখ বুলালেই হবে পরিস্কার।
সবশেষ ওয়ানডে টুর্নামেন্টে ১১ ইনিংসে ২৬.৬৩ গড়, ৮৩.২৩ স্ট্রাইক রেটে ২৯৩ রান। সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন সবশেষ ম্যাচে। ফিফটি ১টি। সবশেষ চার দিনের টুর্নামেন্টে ১১ ইনিংসে ৪ ফিফটি ৪৮.৪৪ গড়ে ৪৩৬ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯৬ রান। আর সবশেষ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ১২ ইনিংসে ১৪.৫০ গড়, ১০৮.০৭ স্ট্রাইক রেটে ১৭৪ রান করেছেন।
ঘরোয়াতে সৌম্যর এমন পারফরম্যান্স বলে দিচ্ছে, তিনি রান খরায় ভুগছেন। তবুও তাকে দলে রাখার ব্যাখ্যায় হাথুরুসিংহের যুক্তি, ‘আর আমাদের একজনকে দরকার ছিল যে বোলিং ব্যাটিং দুটোই করতে পারে, যেহেতু সাকিব নেই। সাকিব ১৭ বছর ধরে খেলছে, আমরা সাকিবের মত কাউকে খুঁজছি। এই জন্যই সৌম্যর একাদশে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।’
তবে লঙ্কান এই কোচ এটাও জানিয়েছেন, সাকিবের মতো পারফরম্যান্স সৌম্যর কাছে তারা প্রত্যাশা করেন না। কিন্তু চান, সৌম্য পারফরম্যান্স করুক।
‘সাকিব যা পারবে সৌম্য তা পারবে না, আমরা চাই ও ব্যাটিং বোলিং টা ঠিক ভাবে করুক। আমরা ওকে অলরাউন্ডার হিসেবে ভাবছি যে দলে অবদান রাখতে পারবে।’