প্রথমে টেস্ট, পরে ওয়ানডে। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে নিউ জিল্যান্ডকে হারানোর সব স্বাদই তো পেয়েছে বাংলাদেশে। টি-টোয়েন্টি কেন বাদ থাকবে? সেই অপেক্ষা এবার দূর করার পালা। তিন ফরম্যাটে জয়ের বৃত্ত পূরণের পালা।
তিন ফরম্যাট মিলিয়ে একটা সময়ে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে টানা ৩২ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের দাপটে স্রেফ অসহায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দুই হাজার বাইশের পাঁচ জানুয়ারি বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন জয়সূর্য্যের দেখা মিলে। সেদিন কাক ডাকা ভোরে শত রঙের ছড়াছড়ি হয়; হাজার প্রজাপতির উড়াউড়ি হয়! বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড়, আনন্দের দিন আসে চুপিসারে। দিনের আলো ফোঁটার আগেই মাউন্ট মঙ্গানুইতে বাংলাদেশ হারায় নিউ জিল্যান্ডকে।
সেটাও সাদা পোশাকের ক্রিকেটে। জয়ের সেই আনন্দ আগুনের স্ফূলিঙ্গ হয়ে ভেসে বেড়ায় ১৬ কোটি ক্রিকেটপ্রাণের মনের আয়নায়। তাসমান পাড়ের দেশটিতে প্রথম জয়ে আত্মবিশ্বাসের রেণু ছড়িয়ে পড়ে অন্য ফরম্যাটেও। ওয়ানডেতে ১৮ ম্যাচ পর বাংলাদেশ প্রথম জয়ের মুখ দেখে এবারের সফরের তৃতীয় ম্যাচে। নিউ জিল্যান্ডকে মাত্র ৯৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয়।
সেই আনন্দের রেশ এখনও বিরাজ করছে গোটা দল। দলবল নিয়ে শান্ত-লিটন-মিরাজরা গতকাল ছুটে গেছেন ওয়াইমারামা বিচে। টিম হোটেল ‘সিনিক হোটেল টে পানিয়া’ থেকে যা ঘণ্টাখানেকের দূরত্বে। আজ বড়দিনে দলের জন্য রাখা হয়েছিল অফিসিয়াল ডিনার। দলের ক্রিকেটাররা সবাই একসঙ্গে হয়ে ডিনার করেছেন। বড়দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন।
স্বাগতিকদের বিপক্ষে তাদের মাটিতে নয় ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সবকটিতেই হেরেছে। টেস্ট, ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টির দূর্গও বাংলাদেশ ভাঙতে পারবে বলে বিশ্বাস দলের।
ওয়ানডে খেলা চার ক্রিকেটার এরই মধ্যে বাংলাদেশে ফিরেছেন। মুশফিকুর রহিম, তানজিদ হাসান তামিম, রাকিবুল হাসান ও এনামুল হক বিজয়। টি-টোয়েন্টি দলের রনি তালুকদার, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মাহেদী হাসানরা অনেক আগে দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ভালো সময় পেয়েছেন তারা। এবার কেবল মাঠে নেমে নিজেদের মেলে ধরার পালা।
এ বছর আট টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে খেলা সবকটি ম্যাচের মধ্যে কেবল একটি ম্যাচ হেরেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। যেখানে আফগানিস্তানকে এবং ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার কীর্তিও রয়েছে। নিউ জিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে হারিয়ে জয়ের বৃত্ত ভরাট করতে পারলে অনন্য এক অর্জন যুক্ত হবে বাংলাদেশের সাফল্যের খাতায়।