খেলাধুলা

জয়ে সিরিজে সমতা আনল নিউ জিল্যান্ড

স্কোর: নিউ জিল্যান্ড ৯৫/৫ (১৪.৪ ওভার),  বাংলাদেশ ১১০/১০ (১৯.৩ ওভার)

ফল: নিউ জিল্যান্ড ডিএলএস মেথডে ১৭ রানে জয়ী

সিরিজ: বাংলাদেশ ১ : ১ নিউ জিল্যান্ড

ম্যাচ সেরা: মিচেল স্ট্যানার (২০ বলে ১৮* ও ১৬/৪ উইকেট)

সিরিজ সেরা: শরিফুল (৬ উইকেট)

 

ব্যাট-বলে দারুণ লড়াই হচ্ছিল। বাংলাদেশ মামুলী পুঁজি নিয়েও বোলিংয়ে দারুণ লড়াই করলো। পিছিয়ে পড়ে নিউ জিল্যান্ড ঘুরে দাঁড়াল।  কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইনে নির্ধারিত হলো ম্যাচের ভাগ্য।

১৭ রানে ম্যাচ জিতে শেষ টি-টোয়েন্টিতে সমতা আনল নিউ জিল্যান্ড। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ এ ভাগাভাগি হলো। এর আগে বাংলাদেশ প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হয়। তৃতীয় ম্যাচে দুই দলের লড়াই জমে উঠল। মাউন্ট মঙ্গানুইতে বৃষ্টির আগে ম্যাচের নাটাই নিউ জিল্যান্ডের হাতে থাকলেও বাংলাদেশ হাল ছেড়ে দিচ্ছিল না। কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি বাধ সাধলো ম্যাচের অন্তিম লড়াইয়ে। ভাগ্য নির্ধারণ হলো ডিএলএস মেথডে। ১৭ রানে স্বাগতিকরা এগিয়ে থাকায় ম্যাচ জিতে নেয়।

জয়ের পথে নিউ জিল্যান্ড, বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ

ষষ্ঠ উইকেটে জিমি নিশাম ও মিচেল স্ট্যানারের দারুণ জুটিতে জবাব দিচ্ছে নিউ জিল্যান্ড। জয়ের পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। কিন্তু হুট করেই মাউন্ট মঙ্গানুইতে বৃষ্টির দাপট। মাঠ ছেড়েছেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। মাঠকর্মীরা দ্রুত মাঠ কাভার করছেন। বৃষ্টির সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে দমকা হাওয়া।  

১৪.৪ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডে রান ৫ উইকেটে ৯৫। জয়ের থেকে তারা কবেল ১৬ রান দূরে। তবে ডিএলএসে নিউ জিল্যান্ড  এগিয়ে ১৭ রানে। এই মুহূর্তে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির দাপটে যদি খেলা আর না হয় তাহলে নিউ জিল্যান্ড ম্যাচ জিতে যাবে। এখনকার যে চিত্র, তাতে এ ম্যাচ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই খুব একটা।   

৬০ বলে প্রয়োজন ৪৮ রান, বাংলাদেশের ৫ উইকেট

নিউ জিল্যান্ডের এ ম্যাচ জিততে শেষ ৬০ বলে করতে হবে ৪৮ রান। ১১১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৬৩ রান। স্বল্প পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশও দারুণ লড়াই করছে। এরই মধ্যে তুলে নিয়েছে ৫ উইকেট। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পরের ৫ উইকেট তুলে নিতে পারলে সিরিজ জিততে পারবে বাংলাদেশ। 

অ্যালেনকে ফিরিয়ে পঞ্চম সাফল্য বাংলাদেশের

এবার ফিন অ্যালেনকে বোল্ড করলেন শরিফুল ইসলাম। তার ভেতরে ঢোকানো বল মিস করে বোল্ড অ্যালেন। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো অ্যালেনকে আউট করলেন শরিফুল। ৩১ বলে ২৮ রান করে অ্যালেন বোল্ড হলেন। তার ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক দিয়ে বল আঘাত করে স্টাম্পে। তাতে বাংলাদেশ পেয়ে যায় পঞ্চম উইকেটের স্বাদ। 

রান আউটে বাংলাদেশের আরেকটি সাফল্য

রান আউটে চতুর্থ উইকেট হারাল নিউ জিল্যান্ড। ক্রিজের মাঝে দুই ব্যাটসম্যানের সংঘর্ষে নন স্ট্রাইক প্রান্তে ফিরতে পারলেন না মার্ক চ্যাপম্যান। মোস্তাফিজের বল কভারে পাঠিয়ে দুই রান নেওয়ার জন্য দৌড় দেন অ্যালেন। ডাবল হয়ে যেত। কিন্তু দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে অ্যালেন ও চ্যাপম্যান ক্রিজের মাঝে সংঘর্ষে পড়েন। আঘাত পান অ্যালেন। নন স্ট্রাইক প্রান্তে ফিরতে পারেননি চ্যাপম্যান। আফিফের থ্রো থেকে বল পেয়ে মোস্তাফিজ ভাঙেন উইকেট।   

ফিলিপসকে বোল্ড করে ফেরালেন শরিফুল

দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার পেলেন পেসার শরিফুল। ধারাবাহিক আক্রমণে যাচ্ছিলেন এ পেসার। তাকে দেখেশুনে খেলছিলেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু বাঁহাতি পেসার ঠিকই সাফল্য আদায় করে নিলেন। তার ভেতরে ঢোকানো দ্রুতগতির বলে বোল্ড গ্লেন ফিলিপস। আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি। ৩০ রানে নিউ জিল্যান্ড হারাল ৩ উইকেট। 

মাহেদীর দুইয়ে দুই

পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট পেলেন স্পিনার মাহেদী হাসান। প্রথম ওভারে সেইফার্টের উইকেট পেয়েছিলেন। এবার তার শিকার ড্যারেল মিচেল। উইকেট থেকে সরে মিড অফ দিয়ে বল উড়াতে চেয়েছিলেন মিচেল। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় করে ক্যাচ দেন সোজা শান্তর হাতে। ২৬ রানে নিউ জিল্যান্ড হারাল দ্বিতীয় উইকেট। মামুলী পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে বাংলাদেশ ভালোই লড়াই করছে।   

বোলিংয়ে শুরুতেই মিলল সাফল্য

স্বল্প পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই সাফল্যের দেখা পেল বাংলাদেশ। স্পিনার মাহেদী হাসানের বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বল মিস করেন সেইফার্ট। উইকেট রক্ষক রনি তালুকদার বল ধরে ভাঙেন উইকেট। ততক্ষণে ক্রিজের বাইরে সেইফার্ট। টিভি আম্পায়ার রিপ্লে দেখে তাকে আউটের সিদ্ধান্ত জানান। দ্বিতীয় ওভারে ১৬ রানে নিউ জিল্যান্ড হারাল প্রথম উইকেট।

মন্থর উইকেটে স্ট্যানার জাদু

উইকেট ধীর গতির। বল ঘুরলও বেশ। স্পিনারদের বাড়তি সুবিধা থাকায় এক পেসার কমিয়ে বাংলাদেশ বাড়তি স্পিনার একাদশে যুক্ত করেছে। তবে টস ভাগ্যে এগিয়ে নিউ জিল্যান্ড কাজের কাজ করে নিল প্রথম ইনিংসে। বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে থামিয়ে দিল ১১০ রানে। যার কৃতিত্ব অধিনায়ক মিচেল স্ট্যানারের। সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়ে ৪ ওভারে ১৬ রানে ৪ উইকেট নেন কিউই অধিনায়ক। তিন পেসার মিলে নিয়েছেন বাকি ৬ উইকেট। 

১১০ রানে শেষ বাংলাদেশের ব্যাটিং

ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গেল ১১০ রানে। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে একেবারেই হতশ্রী ব্যাটিং করেছেন ব্যাটসম্যানরা। কেউই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি। আসেন বড় কোনো জুটি। তাতে হয়নি বড় রান। বাংলাদেশের পাঁচ ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে গেলেও কেউই ২০ রানও করতে পারেননি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রিশাদ আউট হলে অল্পতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

ফেরার ম্যাচে তানবীর ৮

গত মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তানবীর ইসলাম। লম্বা সময় পর নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ পেলেন। বোলিং তার আসল কাজ। তবে ব্যাটিংয়ে ৮ রান করে রাখলেন অবদান।

বাংলাদেশের একশ

৭.২ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ রান পেয়েছিল বাংলাদেশ। শতরান পেতে বাংলাদেশকে খেলতে হলো ১৭.৩ ওভার। ব্যাটিং ব্যর্থতায় রীতিমত এলোমেলো বাংলাদেশ। কোনো ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেননি। আসেনি কোনো জুটি। তাতে হয়নি বড় রান।  

শরিফুলের ‘৪’

প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানরা হাল ছেড়েছেন সহজেই। সেখানে লেজের ব্যাটসম্যানদের সামান্যতম অবদানই বিরাট কিছু। শরিফুল ইসলাম সেই কাজটা করলেন। ৪ রান যোগ করেছেন স্কোরবোর্ডে। সিয়ার্সের বল উড়াতে গিয়ে নিশামের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। বাংলাদেশ হারাল অষ্টম উইকেট। 

শামীম ফ্লপ

দলে ফেরা শামীম হোসেন পাটোয়ারী পারলেন না সুযোগ কাজে লাগাতে। নিজের চিরচেনা শট খেলতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দেন। স্টানারের বল উইকেট থেকে সরে উড়াতে গিয়ে শামীম আউট হন ৯ রানে। স্ট্যানার পেলেন চতুর্থ উইকেট। বাংলাদেশ হারাল সপ্তম ব্যাটসম্যান। 

হাল ধরতে পারলেন না মাহেদী

নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক স্ট্যানার পেলেন তৃতীয় উইকেট। এবার তার শিকার মাহেদী হাসান। প্রবল আলগা শটে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ১৩ বলে ৪ রান করা মাহেদী।  বাংলাদেশ হারাল ষষ্ঠ উইকেট। 

রিভিউ নিয়ে তাওহীদকে ফেরাল নিউ জিল্যান্ড

স্ট্যানারের ঘূর্ণিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন তাওহীদ হৃদয়। বাংলাদেশ হারাল পঞ্চম উইকেট। তাকে ফেরাতে রিভিউ কাজে লাগিয়েছে স্বাগতিকরা। বাঁহাতি স্পিনারের বল উইকেটে ড্রপ করে ছোবল দেয়। তাওহীদের ব্যাটে আলতো চুমু খেয়ে বল যায় কিপারের গ্লাভসে। আম্পায়ারের সাড়া না পেয়ে নিউ জিল্যান্ড রিভিউ নেন। তাতে কাজ হয়। ১৮ বলে ১৬ রান করে থামলেন তাওহীদ। 

হতাশ করলেন আফিফও

দলে ফিরে নিজের জায়গা শক্ত করতে পারলেন না আফিফ হোসেন। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১ রান করা আফিফ এবার করলেন ১৪। হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকার পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্ট্যানারের বল এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে হাওয়ায় ক্যাচ তোলেন। উইকেট রক্ষক সহজ ক্যাচ নিয়ে তাকে ফেরান। ১৩ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৪ রান করেন আফিফ। বাংলাদেশ ১০ ওভারের আগে হারাল চতুর্থ উইকেট।

পাওয়ার প্লে’তে নড়বড়ে বাংলাদেশ

প্রথম পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশ ৪৫ রান তুললেও হারিয়েছে ৩ উইকেট। তাতে নড়বড়ে অবস্থানে সফরকারীরা। বড় কোনো জুটি না আসলে বড় রানের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।  

রান পেলেন না রনি

ব্যাট হাতে আরেকটি বাজে ম্যাচ কাটালেন ওপেনার রনি তালুকদার। রান পেলেন না শেষ টি-টোয়েন্টিতেও। ১০ বলে ১০ রান করে সিয়ার্সের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল।  কিন্তু সতীর্থ তাওহীদের থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় ফিরে আসেন ডানহাতি ওপেনার। 

শান্ত থামলেন ‘১৬৫০’ রানে

এ বছর রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন শান্ত। বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। মিলনের বল পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। তাতে থামল তার রানছুট।

তিন ফরম্যাটে ৪২ ম্যাচে ৪৪ ইনিংসে শান্তর রান ১৬৫০। বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান এখন পর্যন্ত এক বছরে পাঁচ সেঞ্চুরি করেননি। শান্ত আগের সব রেকর্ড ভেঙে এবার পাঁচ সেঞ্চুরি করেছেন। সঙ্গে তার নামের পাশে আছে ৯ ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস। তার ব্যাটিং গড়ও চমকপ্রদ। ৪২.৩০।

অফফর্ম, দল থেকে বাদ পড়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় চটকদার সব ট্রলের শিকার হয়েছেন শান্ত। ২২ গজে রান করেই শান্ত সব কিছুর জবাব দিয়েছেন।  

শান্তর রানছুট চলছে

চলতি বছরে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার সেই রানছুট চলছে বছরের শেষ দিনেও। সৌম্য আউট হওয়ার পর বেশ আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। প্রতি আক্রমণে গিয়ে এরই মধ্যে দৃষ্টিনন্দন চারটি চার মেরেছেন। সাউদিকে অনড্রাইভে চার মেরে রানের চাকা খোলার পর মিলনেকে দ্বিতীয় ওভারে দুটি চার হাঁকান। প্রথমটি ড্রাইভে, পরেরটি এগিয়ে এসে মিড অফ দিয়ে। তৃতীয় ওভারে সিয়ার্সের বল এক ড্রপে মিড উইকেট দিয়ে পাঠান বাউন্ডারিতে।   

এক চারে থামলেন সৌম্য

টিম সাউদির ওভারপিচ বল মিড অফ দিয়ে উড়িয়ে চার মেরে আত্মবিশ্বাসী শুরু করেছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ওই এক চারেই থেমে যায় তার বছরের শেষ ইনিংস। সাউদির করা প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে এলবিডব্লিউ হন সৌম্য। মিডল স্টাম্পের ওপরের বল সুইং করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। সৌম্য ব্যাট চালালেও টাইমিং মেলাতে পারেননি। বল তার প্যাডে আঘাত করলে নিউ জিল্যান্ড আউটের আবেদন করে। আম্পায়ারও সাড়া দেন। সৌম্য রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে ড্রেসিংরুমের পথ ধরতে হয় তাকে।  

টস

২০২৩ সালের শেষ দিন শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে মাঠে বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ড। মাউন্ট মঙ্গানুইতে দুই দল তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায়।

এরই মধ্যে টস সম্পন্ন হয়েছে। নিউ জিল্যান্ড টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

নিউ জিল্যান্ড অপরিবর্তিত, বাংলাদেশের এক পরিবর্তন

বাংলাদেশের একাদশে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রথম ম্যাচে অভিষেক হওয়া পেসার তানজিম হাসান সাকিব আজ নেই। তার পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন স্পিনার তানবীর ইসলাম। গত মার্চের পর প্রথম খেলার সুযোগ পেলেন তানবীর। নিউ জিল্যান্ড একাদশে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। 

বাংলাদেশ একাদশ রনি তালুকদার, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, শামীম হোসেন, তাওহীদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও তানবীর ইসলাম। 

নিউ জিল্যান্ড একাদশ

ফিন অ্যালেন, টিম সেইফার্ট, ড্যারেল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাম্পমান, জেমস নিশাম, মিচেল স্ট্যানার, অ্যাডাম মিলনে, টিম সাউদি, ইশ শোধী, বেন সিয়ার্স। 

শেষটা রাঙানোর অপেক্ষায় বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এ বছর কোনো সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। বছরের শেষটা রাঙাতে বদ্ধপরিকর নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এজন্য নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচের আগে ২০২৩ সালে ১৩ ম্যাচের ১০টি জিতেছে বাংলাদেশ। দুটিতে হেরেছে। ফল হয়নি অন্যটির। 

এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৫ উইকেটে জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে ভেসে যাওয়া দ্বিতীয় ম্যাচেও নিউ জিল্যান্ডের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছিল। আজ সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচ জিতলে টানা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় দিয়ে বছর শেষ করতে পারবে বাংলাদেশ।