পাকিস্তানের বিপক্ষে বিদায়ী টেস্টের প্রথম ইনিংসে করলেন ৩৪। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে হাসলো ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাট। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে ব্যাট হাতে ৫৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। তাতে পাকিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ১৩০ রানের টার্গেট অস্ট্রেলিয়া ছুঁয়ে ফেলে ২ উইকেট হারিয়েই। ওয়ার্নারের বিদায়ী টেস্ট ৮ উইকেটের ব্যবধানে জিতে হোয়াইটওয়াশ সম্পন্ন করে অজিরা।
রান তাড়া করতে নেমে সাজিদ খানের বলে শূন্যরানেই উসমান খাজার উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর ওয়ার্নার ও মার্নাস ল্যাবুশেনের ব্যাটে দারুণ জবাব দেয় তারা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজন ১১৯ রান তুলে জয়টাকে মামুলি বানিয়ে ফেলেন। এই রানে ওয়ার্নার ফেরেন সাজিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। যাওয়ার আগে ৭৫ বল খেলে ৭ চারে ৫৭ রান করে যান।
এরপর স্টিভেন স্মিথ ও ল্যাবুশেন মিলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ল্যাবুশেন ৯ চারে ৬২ ও স্মিথ ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
তার আগে ৭ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল পাকিস্তান। আজ বাকি ৪ উইকেট হারিয়ে দলীয় সংগ্রহে তারা ৬২ রান যোগ করতে পারে। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আমের জামাল দলীয় সংগ্রহকে ১০৯ পর্যন্ত নিয়ে যান। এই রানে রিজওয়ান ফেরেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করে। একই রানে ফেরেন আমেরও। তিনি ২ চারে ১৮ রান করেন। এরপর ১১৫ রানে যাওয়ার পর হাসান আলীর উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।
বল হাতে জশ হ্যাজলউড ৪টি উইকেট নেন। ৩টি উইকেট নেন নাথান লায়ন। ১টি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও ট্র্যাভিস হেড।
প্রথম ইনিংসে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও রিজওয়ান, আগা সালমান ও আমেরের ব্যাটে ৩১৩ রান করতে পারে পাকিস্তান। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে ২৯৯ রানে অলআউট করে ১৪ রানের লিডও পায় তারা। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারা। এবার আর কেউ তাদের উদ্ধার করতে পারেনি বিপর্যয় থেকে। তাতে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩০ রানের বেশি টার্গেট দিতে পারেনি পাকিস্তান।
ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে ১০০ রান (৮২ ও ১৮) এবং বল হাতে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন পাকিস্তানের আমের জামাল। আর সিরিজে ৩৮ রান ও ১৯ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন প্যাট কামিন্স।