বিপিএলের আগে-পরে ও চলাকালীন এই ইস্যুতে আলোচনা সরব হয়। কবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল রাজস্ব ভাগাভাগি করবে? আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে বিপিএলের সফলতম দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যারা প্রায় এক মৌসুমেই ২৮-৩০ কোটি টাকা খরচ করে। রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে তাই তাদের দাবিটাও জোরালো।
বিপিএলের চারবারের চ্যাম্পিয়নরা দশম বিপিএলের ঠিক আগে আবার একই দাবি জানালো। রাজস্ব ভাগাভাগি ইস্যুতে নিজেদের কঠোর অবস্থান জানিয়ে দলটির চেয়ারপারসন নাফিসা কামাল বলেছেন, ‘আমার মনে হয় ২০১৯ সালে আমরা এটা নিয়ে কথা বলেছিলাম তখন আমাদেরকে বলেছিল এটা নিয়ে কাজ হবে। এত বছর হয়ে গেছে এখনও হয়নি। ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে আমরা বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে চুক্তি করেছি। এই চুক্তিটা যদি আমরা চালিয়ে যেতে চাই তাহলে আমরা চাই যে কিছু শর্তে আমাদের মাঝে ভাগাভাগিতে আসুক। আমরা বলছি না যে আমাদের খুব বড় একটা অঙ্কের ভাগ দিতে হবে। মডেল বা প্রক্রিয়াটা সেভাবে শুরু করে দিলে শুধু আমাদের জন্য না, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জন্য না সব দলই উপকৃত হবে।’
‘আমরা লম্বা সময় ধরে আছি। অন্যান্য দল এক-দুই বছর থাকছে চলে যাচ্ছে। রংপুর ব্যাক করেছে, ওরাও ছিল না। সবগুলো দল যেন লম্বা সময় থাকতে পারে এজন্য আমাদের সবাইকে একই টেবিলে বসা উচিত এবং ভাগাভাগিতে আসা উচিত। কিভাবে ভাগাভাগিতে আসবে সেটা গভর্নিং কাউন্সিলই সিদ্ধান্ত নেবে কিন্তু আসা উচিত কোনো একটা ভাগাভাগি।’- যোগ করেন তিনি।
কোন কোন খাতে রাজস্ব ভাগাভাগি হতে পারে সেই ধারণাও দিলেন নাফিসা কামাল, ‘মিডিয়া রাইটস, গ্রাউন্ড রাইটস তারপর হচ্ছে টিকিট প্রাইস।’
বরাবরের মতো এবারও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দাবি মানা সম্ভব না তা সাফ জানিয়ে দিল বিপিএলের আয়োজক বিসিবি। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আমরা একটি টেকসই বিপিএল করতে চাচ্ছি। সেটা শুধু ক্রিকেট বোর্ডের জন্য নয়, এটা সব ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্যও। যে সমস্ত লভ্যাংশ ভাগের মডেলকে উদাহরণ হিসেবে আনা হচ্ছে, সেই লিগগুলোতে কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বলেন বা অন্যান্য আর্থিক কাঠামো অনেক উপরে। তারা যে মডেলে করছে আমরা সেই মডেলে যাচ্ছি না আর সেটা আমাদের জন্য টেকসই হবে না ফ্র্যাঞ্চাইজি ফিসহ আর্থিক দিক বিবেচনায়। সেক্ষেত্রে এটা তুলনা যোগ্য নয়।’
বিপিএল যেভাবে চলছে তা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টেকসই দাবি করে নিজাউদ্দিন চৌধুরী আরও বলেছেন, ‘আমরা আমাদের বাজার ও সীমাবদ্ধতা অনুযায়ী এটা করি। এ বিষয়ে লভ্যাংশ ভাগে বোর্ডের আগে যে অবস্থান ছিল এখনও সেটাই। এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ভাগের যে মডেল সেটা আমরা ওভাবে যাচ্ছি না, চিন্তাও করতে পারছি বর্তমান প্রেক্ষাপটে। এর বাইরে গেলে আমাদের জন্য বিষয়টা সামলানো কঠিন হবে। আমার মনে হয় আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে আলাদা করে বসলে তাদের বোঝাতে সক্ষম হবো যে, আমরা কি মডেল করছি আর অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো কি মডেলে হচ্ছে। এটা হলে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে তারা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে পারবে।’