খেলাধুলা

মাশরাফির মিরপুরে ফেরার দিনে উজ্জীবিত সিলেট

দুপুরের পরপরই মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলন শুরু করে বিপিএলের গত আসরের রানার্সআপ দল সিলেট সিক্সার্স। গত কয়েকদিন ঢাকার অদূরে পূবেরগাও ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুশীলন করলেও বুধবার একাডেমি মাঠে ব্যাট-বলের জমজমাট অনুশীলনে নিজেদের ঝালিয়ে নেয় সিলেট। বেনি হাওয়েল, বেন কাটিং, হেরি ট্যাক্টররাও যোগ দেন অনুশীলনে।

আগেই জানা ছিল, সিলেটের আজকের অনুশীলনে যোগ দেবেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেলেও তার দেখা মিলে না মিরপুরের সবুজ ঘাসে। অপেক্ষার পালা ফুরায় শেষ বিকেলে। প্রায় গোধূলি লগ্নে লম্বা সময় পর মিরপুরে ফেরেন মাশরাফি। শেষ ঢাকা লিগের পর কেবল একবারই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ডাকে মিরপুরে গিয়েছিলেন মাশরাফি। এবার খেলোয়াড় মাশরাফি ফেরেন মিরপুরে।

গায়ে হলুদ হুডি জড়িয়ে সিলেটের অধিনায়ক পা রাখেন একাডেমি মাঠে। তখন অনুশীলনের শেষ দিকে ব্যাগ গুচ্ছাচ্ছিলেন সিলেটের ক্রিকেটাররা। মাশরাফি তাঁবুতে এগিয়ে গেলে সবাই এগিয়ে এসে তাকে স্বাগত জানান। নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকির হাসান, নাজমুল ইসলাম অপুরা হাত মিলিয়ে হাসিমুখে অধিনায়ককে বরণ করেন।

এরপর দলের বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে হ্যান্ডশেকে পরিচয় পর্ব সারেন। মাঠে এলেও মাশরাফি আজ বোলিং করেননি। তবে তার যোগদানে গোটা দল হয়ে উঠে প্রাণবন্ত। সতীর্থদের পর কোচিং স্টাফদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন মাশরাফি।

এরপর সিলেট স্ট্রাইকার্সের পেসার হান্টের থেকে উঠে আসা পেসারদের সঙ্গে পরিচয়পর্ব সেরে ফটোসেশনে অংশ নেন। এরপর গোল হয়ে দাঁড়িয়ে গোটা দলের উদ্দেশ্যে কথা বলতে দেখা যায় মাশরাফিকে। তার উপস্থিতি যোগ করে নতুন মাত্রা। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পুরো দলকে উজ্জীবিত করেছেন মাশরাফি। শেষ আসরের পারফরম্যান্সের কথা মনে করিয়ে দিয়ে কিভাবে সাফল্য পাওয়া যাবে সেই রসদও দিয়েছেন। কাগজে কলমে এবারও মাশরাফির সিলেট পিছিয়ে। তবে মাশরাফি আছেন বলেই দলটি বেশ আশাবাদী। বিপিএলে চারটি শিরোপা জেতা এই অধিনায়ক গতবারের মতো এবারও ম্যাজিক দেখাবেন বলে বিশ্বাস করে সিলেট স্ট্রাইকার্স কর্তৃপক্ষ।

যদিও মাশরাফির খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা গিয়েছিল। হাঁটুতে চোট রয়েছে তার। তবে সব জল্পনা দূর করে সিলেটের প্রথম ম্যাচ থেকেই তাকে পাওয়া যাবে এবং দলকে নেতৃত্বও দেবেন তিনি। কিছুদিন আগে সিলেট দল নিয়ে মাশরাফি বলেছিলেন, ‘নামের দিক থেকে এবারও অনেক...অনেকেই বলছে এবারও তাই (দুর্বল)। তবে দলে ব্যালেন্সের বিষয় আছে। আমার কাছে মনে হয়নি যে দল খারাপ।’ 

দলের সাফল্যের জন্য দলীয় একতা, শ্রমের কথা বললেন মাশরাফি, ‘কোনো টোটকা (সাফল্যের) নেই। শ্রম দিতে হবে। যে কোনো কাজের পেছনে আপনার পরিশ্রম এবং মনোযোগ দিতে হবে। খেলাধুলা হচ্ছে টিম গেম। টোটকার বিষয় না। আমরা যে নির্বাচনে জিতলাম এখানেও টিম গেম ছিল। খেলাধুলাতেও তাই। ডেডিকেশন ঠিক থাকতে হয়।’