দুপুর ১২টা নাগাদ স্টেডিয়ামের আশে-পাশে যানজট লেগে যায় দর্শকদের মিছিলে। ১ নাম্বার গেট দিয়ে ঢুকতে গিয়ে মিডিয়া সেন্টারের সামনে দেখা যায় ৩৬০ ডিগ্রি রিলস ক্যামেরা। এখানে দাঁড়িয়ে দর্শকরা যে যার মতো নিজেদের ভিডিও করে যাচ্ছেন।
দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে বোর্ড ছিল নিরব। কোথাও কোনো আয়োজন ছিল না। এই নিয়ে ছিল প্রবল সমালোচনাও। তবে শুরুর দিন দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সাদামাটা আয়োজনের ব্যবস্থা রাখে দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম আঙিনার চারদিকে বিপিএল নিয়ে ব্র্যান্ডিং। ফ্লাড লাইটের পিলারে-পিলারে বিপিএলের ব্যানার, মাঠের বাইরেও একই চিত্র। আকাশে উড়ছে বিপিএলের ব্র্যান্ডিং করা গ্যাস-বেলুন।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) প্রথম ম্যাচের দুই দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স-দুর্দান্ত ঢাকার টসের পর বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন সদ্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। সবার সঙ্গে হাত মেলাতেও দেখা যায় তাকে।
দুপুর ১২টা নাগাদ স্টেডিয়াম এলাকায় দেখা যায় দর্শকের মিছিল। টস হতে হতে গ্যালারির একাংশ পূর্ণ হয়ে যায়। এবার সম্প্রচারেও আসছে নতুনত্ব। স্পাইডার ক্যামেরার পাশাপাশি আছে চলমান ব্যাগি ক্যামেরা। যেগুলো সচারাচর আইপিএল কিংবা বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে দেখা যায়।
সব মিলিয়ে বোর্ড চেষ্টা করছে জমজমাট বিপিএল আয়োজনের। কিন্তু প্রচার-প্রসার না থাকায় দর্শকরা ছিলেন দোটানায়। জটিলতা ছিল স্পন্সর নিয়েও। বিপিএল শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে ঘোষণা আসে স্পন্সরের। সব মিলিয়ে শুরুর আগে নানা সমস্যা দেখা দিলেও দ্রুত গুছিয়ে এনেছে বোর্ড।
প্রথম ম্যাচে টস জিতেছে নবাগত দল দুর্দান্ত ঢাকা। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে তারা। এবার দলের নেতৃত্বেও ভিন্নতা এনেছে দলটি। প্রথমবারের মতো লিটন দাসের নেতৃত্বে খেলছে কুমিল্লা। আগেরবার কুমিল্লায় খেলা মোসাদ্দেক এবার ঢাকার নেতৃত্বে।
আজ শুরু হয়ে প্রায় দেড় মাস চলবে এই আসর। ৪৬ ম্যাচের টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে আগামী ১ মার্চ। খেলা হবে তিনটি ভেন্যু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে। মাঠে বসে বিপিএলের ম্যাচ দেখতে টিকেটের জন্য সর্বনিম্ন ২০০ টাকা খরচ করতে হবে। সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০০ টাকায় ম্যাচ দেখতে পারবেন দর্শকরা।