প্রথম বলে ডটের পর পরপর দুই বলে খুশদিল শাহর কাছে টানা দুই ছক্কা হজম করেন পেসার শরিফুল ইসলাম। খুশদিলের ক্যামিওতে দেড়’শ পার করার স্বপ্ন দেখছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, তখনই শরিফুল হাজির হন হন্তারক রূপে। খুশদিলসহ পরপর তিন বলে তিন উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক করেন এই পেসার।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচে শুক্রবার চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে হ্যাটট্রিকের দেখা পান শরিফুল। দেশি-বিদেশি মিলে বিপিএলে এটি সপ্তম হ্যাটট্রিক। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শরিফুলদের তোপে ৬ উইকেটে ১৪৩ রান করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা।
চতুর্থ বলে খুশদিলকে ফেরানোর পরের দুই বলে শরিফুলের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন রস্টন চেজ-মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। মারতে গিয়েই মূলত কাটা পড়েন শরিফুলের পেসে। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন শরিফুল। সমান ওভারে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। আর চতুরঙ্গ ডি সিলভার ঝুলিতে জমা হয় ১টি উইকেট।
তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে শতাধিক রানের জুটি গড়ে ব্যাটে রানের ফোয়ার ছুটিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু টি-টোয়েন্টির চাহিদা অনুযায়ী খেলতে পারেননি এই ব্যাটাররা। তাতে প্রথম ম্যাচে ভালো অবস্থায় থেকেও চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
অধিনায়ল লিটন দাস ১৩ বলে ১৬ রানে ফিরলে দলের হাল ধরেন ইমরুল-হৃদয়। ৮১ বলে দুজনের শতরানের জুটি পূর্ণ হয়। ইমরুলের ফিফটি আসে ৪২ বলে, শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ৬৬ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ফিফটির কাছে থাকা হৃদয় ফেরেন ৪১ বলে ৪৭ রান করে। দুজনের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে পিছিয়ে পড়ে কুমিল্লা। শেষ দিকে মারতে গিয়ে হারাতে হয় হ্যাটট্রিক উইকেট। ৫ বলে ২ ছক্কায় খুশদিল ১৩ রান না করলে থামতে হতো আরও আগেই।