শামার যোসেফ। অভিষেকেই যিনি বাজিমাত করেছেন। বল হাতে গতির ঝড় তুলে ক্রিকেটপ্রেমীদের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়াকে দ্বিতীয় টেস্টে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে ২৭ বছর পর দলকে জয়ের স্বাদ দিয়েছেন। অল্প কয়দিনের ব্যবধানে রীতিমতো নায়ক বনে গেছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ায় দুর্দান্ত বোলিং করে তার পুরস্কারও পেলেন। আজ বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
ডিসেম্বর মাসে ১৪ জন ক্রিকেটারকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট। তারা ছিলেন- অ্যালিক অ্যাথানাজে, ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট, কেসি কার্টি, তেজ নারায়ণ চন্দরপল, জোশুয়া দ্যা সিলভা, শেই হোপ, আকিয়াল হোসেইন, আলজারি যোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, গুদাকেশ মতি, রোভম্যান পাওয়েল, কেমার রোচ, জয়ডেন সিলস ও রোমারিও শেফার্ড। তাদের তালিকায় এবার জায়গা দেওয়া হয়েছে শামারকেও।
তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়ে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিরেক্টর ও প্রধান এনোচ লিউইস বলেন, ‘আমরা তার পারফরম্যান্সে খুবই খুশি। পাশাপাশি এটা ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের দায়িত্ব তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তিভূক্ত করে নেওয়া। গাব্বায় সে তার যে ট্যালেন্ট দেখিয়েছে, যে পরিমাণ ডেডিকেশন দেখিয়েছে, দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দলকে জয় এনে দিয়েছে সেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তার যে মেধা সেটার স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। সে কারণেই তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অন্তর্ভূক্ত করে পুরস্কৃত করা হলো।’
এই চুক্তির ফলে তার সম্ভবনাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিকশিত করা, তার ভবিষ্যত নিশ্চিত করা এবং তাকে দেশে-শুনে রাখার দায়িত্ব ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপর বর্তালো। এর ফলে শামার কোথায় খেলতে পারবেন কি পারবেন না সেটা নির্ধারণ করে দিবে উইন্ডিজ ক্রিকেট।
শামার তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সিরিজেই ১৩ উইকেট শিকার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার মধ্যে দ্বিতীয় টেস্টের এক ইনিংসেই ৬৮ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়ে হৈচৈ ফেলে দেন। তাতে ১৯৯৭ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয় পায় উইন্ডিজ। আর শামার হন সিরিজ সেরা।