খেলাধুলা

বিপিএল: বিদেশি ক্রিকেটার কে গেলেন, কে এলেন, কে আসছেন

বিপিএল যত দিন গড়াচ্ছে তত রং হারাচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মাঠের ক্রিকেটে ব্যাট-বলের তেমন উন্মাদনা নেই। চার-ছক্কার ফুলঝুরি নেই। নেই রানের ফোয়ারাও। স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স গড়পড়তা। ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে নেই ধার। বোলারদের বলে নেই বিষ। তাতে প্রত্যাশামাফিক পারফরম্যান্সও আসেনি। অনেকটা সাদামাটা প্রতিযোগিতায় বিদেশী ক্রিকেটার এসেও পার্থক্য তৈরি করতে পারেনি। এমনিতেও তারকা মানের খেলোয়াড় খেলেছেন দুজন থেকে তিনজন। তারাও এখন ফিরে গেছেন। তাদের শূন্যস্থান পূরণে কেউ কেউ আসছেন। সামনেও আসব্নে। বিপিএল যেন ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ প্রতিযোগিতার মতো।

বিপিএলে যখন তখন চাইলেই খেলোয়াড় যুক্ত করা যায়। চলেও যাওয়া যায়। এমন এক প্রতিযোগিতায় দুয়েকদিনের মধ্যে বেশ কিছু খেলোয়াড় যুক্ত হবেন। যাদের উপস্থিতিতে বিপিএলের ক্যানভাসে কিছুটা রং ছিটাবে বলেই বিশ্বাস করেন ক্রিকেটপ্রেমিরা। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা বরাবরই বিপিএলে হট কেক। এবারও তাই। কিন্তু ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিল তাদের এনওসি। তাই বাবর আজম, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, আমের জামাল, সাইম আইয়ুবদের বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছে আগেভাগে। তবে পিসিবির সঙ্গে চুক্তি না থাকায় শোয়েব মালিক ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকতে পারছেন।

এছাড়া পিএসএলে দল পাননি বলে আহমেদ শেহজাদ টুর্নামেন্ট চালিয়ে যেতে পারবেন। ছেড়ে যাওয়ার তালিকায় রয়েছেন শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা। শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ থাকায় তারা বিপিএল ছেড়ে চলে গেছেন। যেখানে মোহাম্মদ নবী, আজমতউল্লাহ উমরজাই, নাজিবুল্লাহ জাদরান, অভিষ্কা ফার্নান্দো ও দাসুন শানাকা রয়েছেন।  বিদেশী ক্রিকেটারদের শূন্যস্থান পূরণে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো উঠে পড়ে লেগেছে। কারো মাথায় ঘাম ছুটেছে বিদেশী ক্রিকেটার সংগ্রহে।

ঢাকায় দ্বিতীয় পর্বে ১০ ফেব্রুয়ারি রংপুর রাইডার্সের শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচের জন্য তারা আনবে ইংল্যান্ডের ডেভিভ মালান, নিউ জিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশাম ও দক্ষিণ আফ্রিকার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে। তাদের সঙ্গে রাইসি ফন ডার ডুসেনেরও আসার কথা ছিল। কিন্তু চোটের কারণে আপাতত তাকে আনছে না রংপুর। তবে বিপিএলের শেষ দিকে কোয়ালিফায়ারে উঠলে তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও নিকোলাস পুরান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে সিরিজ শেষ হলে বিপিএলে ফিরবেন শাই হোপ, ওশান থমাসরা। দুজনই ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু চট্টগ্রাম পর্বে বিপিএলে যোগ দেবেন। তাতে খুলনা টাইগার্স কিছুটা হলেও হাফ ছেড়ে বাঁচবে। কুমিল্লা শিবিরে এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন উইল জ্যাকস। কিছুদিনের মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগ দেবেনে আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন ও মঈন আলী। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে দেখা যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার রোমারিও শেফার্ড ও ইংল্যান্ডের ওপেনার ফিল সল্টকে।

এছাড়া ফরচুন বরিশালে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন ডেভিড মিলার। সেই সঙ্গে দলটি কুইন্টন ডি কক ও হেনরিক ক্লাসেনকেও নিয়ে আসতে চাইছেন। মূলত কোয়ালিফায়ারের লড়াইয়ে থাকা রংপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও কুমিল্লা বিদেশি খেলোয়াড় দলে ভেড়াতে চাইছে। দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি লিগ এসএ২০ শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইএল টি-টোয়েন্টি ১৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। এই দুই প্রতিযোগিতা শেষে তারকা মানের খেলোয়াড় পাওয়া যাবে বিপিএলে।