খেলাধুলা

কচ্ছপ গতিতে বিজয়ের ফিফটি, সোহান ঝড়ে খুলনার চ্যালেঞ্জ

রেজাউর রহমানের করা শেষ ওভারের প্রথম বল। আউট সাইড অফের হাফ ভলিকে লং অনে আছড়ে ফেললেন হাবিবুর রহমান সোহান। ধীরে চলো নীতিতে শম্ভুক গতিতে চলা খুলনা টাইগার্সের ব্যাটিংয়ে শেষ দিকে প্রাণ ফেরান এই তরুণ।

সোহানের ব্যাটে চার-ছক্কার বৃষ্টি দেখে অন্যপ্রান্তে থাকা ফিফটি হাঁকানো এনামুল হক বিজয়ের বোধোদয় হয় যেন। এই রাজাকেই টানা তিন বলে রিভার্স সুইপে দুটি চার ও একটি ছয় হাঁকিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি এনে দেন খুলনার অধিনায়ক।

শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করতে নামে খুলনা। নির্ধারিত ২০ ওভারে দলটির সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৫৩ রান। শেষ ৩ ওভারে দলটি নেয় ৫১ রান!

৫৮ বলে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন বিজয়। ইনিংসের শুরু থেকে তিনি শেষ পর্যন্ত ছিলেন। চলমান বিপিএলে তার তৃতীয় ফিফটি আসে ৫১ বলে! অন্য প্রান্তে থাকা সোহানের শুরুটাও হয়েছিল ধীরগতিতে। প্রথম ১২ রান করতে তার খরচ হয় ১৯ বল! পরের ১১ বলে আসে ৩১ রান! শেষ পর্যন্ত সোহান ৩০ বলে ৪৩ করে রানআউট হন সোহান। দুজনের জুটি থেকে আসে ৬৭ বলে ৯৯ রান। 

খুলনার শুরুটা ভালোই হয়েছিল। এভিন লুইস তৃতীয় ওভারের শেষ বলে ফিরলেও রানের চাকা থামেনি। উলটো আরও গতি বাড়ে। আফিফ হোসেন ধ্রুব  ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন। যদিও তার ইনিংস লম্বা হয়নি। ১৬ বলে ২৪ রানে ফেরেন সাজঘরে। আফিফের বিদায় নিতেই খুলনার রানের গতি কমে যায়। মাঝে মাহমুদুল হাসান জয় ৬ বলে ১ রানে ফেরেন। এরপর শুরু হয় বিজয়-সোহান জুটি। দুজনের জুটির ফিফটি হয় ৫১ বলে। আর পরের ১৬ বলে দুজনে যোগ করেন ৪৯ রান! 

পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা চলে যাওয়াতে আজ খুলনা ৫টি পরিবর্তন নিয়ে নামে। ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের না থাকার প্রভাব কিছুটা হলেও দেখা গেছে। সিলেটের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন সানজামুল ইসলাম, সামিত প্যাটেল ও বেনি হাওয়েল।