খেলাধুলা

‘আপনার প্রস্তুতি আপনারই, সবটাই নিজের দায়িত্ব’

কেবল ছক্কা হলেই ফিফটি। চার হলে ১ রান দূরে থাকতে হবে। জিমি নিশাম নিজেকে নিরাশ করলেন না। প্রথমবার বিপিএলে নেমেই নিউ জিল্যান্ডের অলরাউন্ডার রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে পেয়ে গেলেন ফিফটি। বিলাল খানের বল সীমানা পাড় করিয়ে ২৬ বলে তুলে নেন ফিফটি। ব্যাটিংয়ে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ঝড় তোলার পর বোলিংয়ে ২ উইকেট। ফিল্ডিংয়ে ১ উইকেট। গতকাল ঢাকায় নেমে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অলরাউন্ড পারফর্ম করে রংপুরকে জেতানোর নায়ক জিমি নিশাম। 

কিভাবে সম্ভব হলো একদিনের ব্যবধানে এতো কিছুর? ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিশাম জানালেন, নিজেই প্রস্তুতি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। প্রযুক্তির কল্যাণে সব এখন হাতের মুঠোয়। প্রতিপক্ষ, নিজের দল, শক্তিমত্তা, দূর্বলতা সব খোঁজ খবর নিয়েই এসেছেন তিনি। তার কথায় শুনুন বাকিটা, ‘প্রথমত এটা নতুন কিছু না। ক্রিকেটে এখন ভ্রমণ, এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাওয়া, টুর্নামেন্ট জয় নিয়মিত হয়ে গেছে। এটা এমন কিছু যে আমি আগে করে এসেছি। আমি অপরিচিত নই একদমই। নিজের অভিজ্ঞতা কেবল এই কন্ডিশনে ছড়িয়ে দেওয়া এতোটুকুই দরকারি ছিল।’

‘এখন পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় কাজ করা সহজ। আপনি চাইলেই আলোচনায় বসতে পারবেন। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যান কিংবা বোলারদের সম্পর্কে আপনি ভিডিও পেতে পারে। সত্যি বলতে এখন পেশাদার হওয়া ব্যক্তিগত দায়িত্ব। আপনি আপনার কাজ চালিয়ে যান। আপনি জানেন সামনে আপনার জন্য কী অপেক্ষা করছে। এটা কোচ, সহকারী কোচ বা অধিনায়কের ওপর নির্ভর করছে না। আপনার প্রস্তুতি আপনার। সবটাই নিজের দায়িত্ব। আঙুল ছোঁয়ালেই প্রযুক্তি আপনার কাছে। দল নিয়ে পর্যালোচনা করতে পারেন। আপনি যাদের সম্পর্কে জানেন না তাদের নিয়ে জানতে পারেন।  নিজের খেলা, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা জরুরী। মাঠে এটাই কাজ করে।’– যোগ করেন নিশাম। 

প্রথমবার বিপিএল খেলতে গতকাল রংপুর শিবিরে যোগ দেন নিশাম। এসেই যোগ দেন ট্রেনিংয়ে। এক সেশন ট্রেনিং করেই বাজিমাত তার, ‘হ্যাঁ এক প্রকার ঝড় বয়ে গেল। গতকাল সকালে পৌঁছে দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেই। মনে হচ্ছে বেশ ভালোমানের দল তৈরি করেছে তারা। আমি যোগ দেওয়ার আগেই টেবিলের শীর্ষে ছিল। যা বেশ স্বস্তির। আমার কাজ ছিল ছন্দটা ধরে রাখা। আজ যেভাবে দিনটা কেটেছে তাতে বেশ খুশি। ’

নিজের পারফরম্যান্সে খুশি নিশামও, ‘টপ অর্ডারে যারা ছিল তারা কাজটা সহজ করে দিয়েছিল। উইকেট কঠিন ছিল। ছয় নম্বরে নেমে আমার কাজ ছিল দলকে এগিয়ে নেওয়া। আমি শেষ করে আসতে পেরে তৃপ্ত।’

নিউ জিল্যান্ডের পেস অলরাউন্ডার আইপিএলে খুব একটা নিয়মিত নন। তবে উপমহাদেশে নিয়মিত খেলায় বাংলাদেশের কন্ডিশন সম্পর্কে তার জানা বেশ। তাই বাংলাদেশে এসে মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হয়নি কিউই অলরাউন্ডারের, ‘আইপিএলে আমি নিয়মিত নই। গত সাত-আট বছরে একেবারেই অনিয়মিত। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই আমি বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়েছি।  সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা এবং অন্যান্য জায়গায় সফর করায় অভিজ্ঞতা পেয়েছি।  আপনি যত খেলবেন তত অভিজ্ঞ হবেন। সঙ্গে আপনার আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাবে।  প্রতিটি ম্যাচই আপনাকে নতুন কিছু শেখাবে। এটাই অভিজ্ঞতা তৈরি করে।’