খেলাধুলা

‘আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান, জানিই না নির্বাচক কে হচ্ছে’

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পেয়েছেন। একই প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন হান্নান সরকার। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনের চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। নান্নুর প্যানেলের আব্দুর রাজ্জাক নতুন প্যানেলেও বহাল আছেন।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নবম বোর্ড সভায় লিপুর নেতৃত্বে নতুন নির্বাচক প্যানেল চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের অধীনে থাকা নির্বাচক কমিটির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন।

‘আমি তো সেটা স্পষ্ট করলাম, আমি জানি না কিছু। অবশ্যই (শকিং)... আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান, আমি জানিই না যে নির্বাচক নিচ্ছে, কে হচ্ছে। খুবই আশ্চর্যের যে আমি জানব না? আমার আসলে এই প্রতিষ্ঠানে থেকে প্রয়োজনটা কী সেটাও জানি না।’

মঙ্গলবার (১৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমে এই প্রতিক্রিয়া দেন সুজন। তিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুর্দান্ত ঢাকার কোচ হিসেবে কাজ করছেন। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়াও গেম ডেভলপমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এই পরিচালক।

২০১৬ সালের জুনের পর জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেল পরিবর্তন করেছে বিসিবি। নান্নুদের মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়। এদিকে লিপু নির্বাচক হওয়ায় ভালো কিছু প্রত্যাশা করছেন খালেদ মাহমুদ, তবে তার নির্বাচক কমিটিতে আসা যেন মানতে পারছেন না তিনি। 

‘লিপু ভাইয়ের ক্রিকেট মেধা... অনেক সিনিয়র, অনেকদিন ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেট ফলো করছেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ছিলেন। উনার বিচক্ষণতা নিয়ে কোনো প্রশ্নই থাকতে পারে না। অবশ্যই আমি মনে করি, উনি আসাতে অনেক ভালো হতেই পারে। তবে আমি উনার নামই শুনিনি আগে যে নির্বাচক হতে পারেন। খুবই সারপ্রাইজিং একটা ঘোষণা এসেছে বিসিবি থেকে। আমি সেখানে ছিলাম না, তাই আসলে বলতে পারব না।’

‘ক্রিকেট যিনি খেলেছেন, তার ক্রিকেট জ্ঞান সম্পর্কে প্রশ্ন করাটা স্বাভাবিক না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব করেছেন। এত বছর ধরে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। মাঝে উনার হয়তোবা একটা বিরতি আছে। টিভিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দেখে তো আমরা অনেকে কথা বলতেই পারি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে কী হচ্ছে, প্রিমিয়ার লিগ বা বয়সভিত্তিক ক্রিকেটগুলা বা অন্যান্য জায়গায় কী হচ্ছে... তবে আমার মনে হয় না, উনার জন্য খুব একটা কঠিন হবে’ -আরও যোগ করেন বিসিবির এই পরিচালক।

খালেদ মাহমুদ প্রশংসা করেছেন সদ্য সাবেক নান্নু-বাশারের, ‘নান্নু ভাই, সুমনের অধীনে বাংলাদেশ দল অনেক সাফল্য পেয়েছে। উনাদের অবদান ভুলে গেলে হবে না। পরিবর্তন দরকার ছিল, বিসিবির এই সিদ্ধান্ত… নান্নু ভাইরা যতদূর করেছেন, অবশ্যই অনেক ভালো কাজ করেছেন। আমি কোনো দোষারোপ করি না, উল্টো স্যালুট করি। তারা ধৈর্যের সাথে যে কাজটা করে গেছেন। সিলেকশন সহজ কাজ না, আপনি তো সবাইকে খুশি করতে পারবেন না। এতজন থেকে ১৫ জন নেওয়া, আবার পছন্দ-অপছন্দ আছে। এগুলোর মধ্যে কাজ করা সহজ ছিল না।’