খেলাধুলা

‘এক চোখে খেলাই সাকিবের জন্য সহজ, অন্ধ হলেও বোলিং করতে পারবে’

মাঠে নেমেই হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। একই ম্যাচে ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপূণ্য দেখালেও সাকিব আল হাসান ম্যাচসেরার দৌড়ে পিছিয়ে পড়েন জিমি নিশামের পারফরম্যান্সের কাছে। চোখের সমস্যা নিয়ে সাকিব যে সংগ্রাম করছেন, সেটি রংপুর রাইডার্সের হয়ে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলার পরও জানতেন না তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নে যেন আকাশ থেকে পড়েন নিশাম, ‘আমি জানি না তাঁর চোখে কী সমস্যা। এই প্রথম আমি খবরটা শুনলাম। সে যাই করছে তা-ই করতে থাকুক। কারণ এটা কাজে দিচ্ছে।’ 

নিশামের অবশ্য বোঝার কথাও নয়। সাকিবের সঙ্গে যে দুই ম্যাচ খেলেছেন নিশাম সেই দুই ম্যাচেই উজ্জ্বল ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। চট্টগ্রামে তো ছাড়িয়ে যান ঢাকার পারফরম্যান্সও। মাত্র ২০ বলে হাঁকান ক্যারিয়ারের দ্রুততম এবং বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে বিপিএল দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। সঙ্গে বল হাতেও নেন ২ উইকেট।

সাকিবের এই পারফরম্যান্স দেখে নিশাম মনে করছেন, এক চোখেই ভালো কিংবা চোখে না দেখলেও সাকিব বোলিং করতে পারবে, ‘গত ম্যাচে তো দেখে মনে হয়েছে উল্টো তাঁকে সাহায্য করছে। হয়তো এক চোখে খেলাই তাঁর জন্য সহজ (হাসি)। সে দারুণ একজন ক্রিকেটার। হয়তো সে যদি চোখে নাও দেখে, তারপরও বোলিং করতে পারবে। তাতেও সে ভালো করবে।’

নিজের প্রথম ম্যাচে নিশাম ২৬ বলে ফিফটি করেছিলেন, সঙ্গে ২ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। দলও ভালো খেলায় বিপিএল উপভোগ করছেন বলেও মন্তব্য করেন নিশাম, ‘হ্যাঁ, বেশ উপভোগ করছি। আর জিততে থাকলে তো সবসময়ই খেলাটাকে উপভোগ্য মনে হয়। দলের আবহটা এখন বেশ ভালো। আমরা পরের ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছি।’

প্রসঙ্গক্রমে গত বছরের শেষে বাংলাদেশ দলের নিউ জিল্যান্ড সফরের কথা উঠে আসে। এই সফরে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের মাটিতে জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বাংলাদেশ দলের উন্নতি দেখে নিশামের কণ্ঠে ঝরছে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের প্রশংসা। 

‘বাংলাদেশ গত কয়েকটি নিউ জিল্যান্ড সফরে বেশ ভালো করছে। ধাপে ধাপে উন্নতি করছে। বিশেষ করে ফাস্ট বোলিং বিভাগ। আমাদের কন্ডিশনে বাংলাদেশকে দাপট দেখিয়ে হারিয়ে এসেছি। কারণ, আমাদের কন্ডিশন বাউন্সি এবং আমাদের ফাস্ট বোলারদের গতি ও বাউন্স বেশি। কিন্তু সর্বশেষ দুটি সফরে ভিন্ন কিছু দেখছি’

‘বাংলাদেশ দলে এখন শরীফুলের মতো বোলার আছে। সে গতির সঙ্গে বল সুইং করাতে পারে। ভালো বাউন্সও আছে। হ্যাঁ, নিউজিল্যান্ডে ওরা খুব ভালো খেলে এসেছে। ওদের নিশ্চয়ই এতে খুব খুশি হওয়ার কথা। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আছে। আমি নিশ্চিত কোন দল ওদের হালকাভাবে নেবে না। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশনে’-আরও যোগ করেন নিশাম।