তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সর হলো টেলিকম সেবা প্রদানকারী কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড। আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রবিকে আগামী সাড়ে তিন বছরের জন্য (২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের জুন) জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ৫০ কোটি টাকায় স্পন্সর স্বত্ব পেয়েছে তারা।
এবার অবশ্য শর্ত যুক্ত করে স্পন্সর হয়েছে টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠানটি। শর্ত হলো- চলতি বছরে জাতীয় দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক এবং কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা কোন খেলোয়াড় অন্য কোনো টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবেন না। অর্থাৎ, অন্য টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠানের কোনোরকম প্রচারণা করতে পারবেন না।
আজ বিসিবির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন ও রবির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী রাজীব শেঠি।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রাজীব শেঠি বলেন, ‘এ দেশের ক্রিকেটের অনেক ‘‘প্রথম’’ সাফল্যের সাথে রবি’র নামটি যুক্ত। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি রবি’র ‘‘পারবে তুমিও’’ চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে টাইগাররা আগামীতেও বিশ্বমঞ্চে আরও বড় বড় সাফল্য নিয়ে আসবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে আবারও নিবিড়ভাবে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়ে রবি গর্বিত। সব বাধা পেরিয়ে সামনে এগোনোর এ রোমাঞ্চকর যাত্রায় রবিকে সব সময় পাশে পাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট।’
রবিকে স্বাগত জানিয়ে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘জাতীয় দলের স্পন্সর হিসেবে রবি’র মতো প্রতিষ্ঠানকে পাশে পেয়ে বিসিবি আনন্দিত। এ পার্টনারশিপের মাধ্যমে সামনের দিনে বাংলাদেশের ক্রিকেট নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’
এর আগে ২০১৫ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ দলের স্পন্সর হয়েছিল রবি। এরপর ২০১৭ সালে আরও তিন বছর মেয়াদ বাড়িয়ে অর্থাৎ ২০১৯ সাল পর্যন্ত স্পন্সর হয়েছিল দেশের অন্যতম এই মোবাইল অপারেটরটি। কিন্তু এরপর মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই সমঝোতার মাধ্যমে সরে যায় তারা। সেটার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিল জাতীয় দলের একাধিক খেলোয়াড়ের অন্য টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির সঙ্গে ব্যক্তিগত চুক্তি। যে কারণে এবার শর্ত জুড়ে দিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, এর আগে দারাজ ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সর। কিন্তু গেল বছরের নভেম্বরে তাদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর স্পন্সর পায়নি বিসিবি। যে কারণে ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং নিউ জিল্যান্ড সফরে স্পন্সর ছাড়াই খেলেছে বাংলাদেশ। সদ্য সমাপ্ত যুব বিশ্বকাপেও স্পন্সর ছাড়াই খেলতে হয়েছে।
এবার আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগেই স্পন্সর পেল দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। আগামী সাড়ে তিন বছর জাতীয় পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দল ছাড়াও বয়সভিত্তিক দল ও এইচপি দলেরও স্পন্সর থাকবে রবি।