সিলেট স্ট্রাইকার্স ও খুলনা টাইগার্সের ম্যাচটা ছিল কেবল নিয়ম রক্ষার। শুক্রবার দিনের ম্যাচে প্লে অফের চতুর্থ দল নির্বাচন হয়ে যাওয়ায় এই ম্যাচ নিয়ে বাড়তি কোনো আগ্রহও ছিল না। তাই স্টেডিয়ামের গ্যালারি সন্ধ্যার পরপরই খালি হতে থাকে। আর দুই দলে তেমন বড় তারকা না থাকায় নির্দিষ্ট কারো জন্য যে অপেক্ষাও করতে দেখা যায়নি।
নিরুত্তাপ এই ম্যাচটিও হয়েছে লো স্কোরিং। দিনের প্রথম ম্যাচের থেকেও কম রান হয়েছে। সিলেটের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনা কেবল ১২৮ রান জমা করতে পারে। জবাবে সিলেট ওই রান তাড়া করে জয় পায় ২ ওভার হাতে রেখে, ৬ উইকেটে।
নিরুত্তাপ ম্যাচের প্রাপ্তি দুই দলের একাধিক ক্রিকেটারের রানে ফেরা। খুলনার হয়ে পুরো বিপিএলে পারফরম্যান্সের খোঁজে ছিলেন আফিফ হোসেন। শেষ ম্যাচে এসে পেয়েছেন প্রথম ফিফটির স্বাদ। ৩৫ বলে করেছেন ৫২ রান। যেখানে ছিল ৩টি চার ও ৪ ছক্কার মার। ১২ ম্যাচে ২৭৮ রান করেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ঠিক একই অবস্থা ইয়াসির আলী রাব্বীর। শুরুর দিকে রান না পাওয়ায় তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ফিরেও রান পাননি। শেষ দিকে সুযোগ পেয়ে আজ ৪৬ রান করে রেখেছেন জয়ে অবদান। ৪৩ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় সাজান এই ইনিংসটি।
এ ছাড়া বিপিএলে চরমভাবে ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্তও রানে ফিরেছেন। জাতীয় দলের নবনিযুক্ত অধিনায়ক গত বিপিএলে ছিলেন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টে। এবার ১২ ম্যাচে ১৭৫ রান করেছেন। আজ শেষ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৩৯ রান। গোটা প্রতিযোগিতায় একটি ছক্কাও আসেনি তার ব্যাট থেকে। এছাড়া বলার মতো কোনো পারফরম্যান্স হয়নি এই ম্যাচে।
টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বিপিএল শুরু করা সিলেট জয়ে শেষটা রাঙিয়েছে। শেষ সাত ম্যাচে তারা জিতেছে পাঁচ ম্যাচ। অন্যদিকে খুলনা প্রথম চার ম্যাচে দারুণ জয় পেলেও পরের দিকে এসে ভুগতে হয়েছে। শেষ আট ম্যাচে মাত্র একটি জয় পাওয়ায় তাদের আর প্লে অফে যাওয়ার সুযোগ হয়নি।
প্লে অফে উঠেছে রংপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল। রংপুর ও কুমিল্লা খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ার। এলিমিনেটরে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম ও বরিশাল।