ক্রিকেটারদেরকে লাল বলের ক্রিকেটের প্রতি আকৃষ্ট করতে ম্যাচ ফি বাড়ানোর পাশাপাশি প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই)। এমন সময় বিসিসিআই এমন সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করলো যখন ইশান কিশান ও শ্রেয়াস আয়ারের মতো খেলোয়াড়রা ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলে আইপিএলের জন্য প্রস্তুতি নেওয়াটাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
বিসিসিআই’র সেক্রেটারি জয় সাহার সতর্কতা সত্ত্বেও ভারতের বেশ কিছু ক্রিকেটার লাল বলের খেলাকে উপেক্ষা করে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে। অবশ্য বেতন বাড়ানো ও প্রণোদনা বাড়ানোর পাশাপাশি যেসব খেলোয়াড় লাল বলের ক্রিকেট খেলতে অনীহা দেখাবেন তাদের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিসিসিআই’র এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘উদাহরণস্বরূপ একজন খেলোয়াড় যদি এক পঞ্জিকাবর্ষের সবগুলো টেস্ট সিরিজ খেলে, তাহলে কেন্দ্রীয় চুক্তি নবায়নের পাশাপাশি তাকে আলাদাভাবে পুরস্কৃত করা হবে। এটা করার উদ্দেশ্য হলো ক্রিকেটারদের লাল বলের ক্রিকেটের প্রতি আকৃষ্ট করা। তাতে করে টেস্ট ক্রিকেট খেলার প্রতি তরুণ ক্রিকেটারদের আলাদা একটা আগ্রহ তৈরি হবে।’
বর্তমানে খেলোয়াড়রা টেস্ট খেললে ১৫ লাখ, ওয়ানডেতে ৬ লাখ ও টি-টোয়েন্টিতে ৩ লাখ রূপি করে পায়। এর বাইরেও ভারতের হয়ে সবগুলো টেস্ট সিরিজে খেলা ক্রিকেটারদের অতিরিক্ত প্রণোদনাও দেওয়া হবে।
এক্ষেত্রে বিসিসিআই একটি নতুন মজুরি কাঠামোর মডেল তৈরি করবে। বিশেষ করে আইপিএল শেষে। সেখানে টেস্টের জন্য ভাতা বাড়ানো ও প্রণোদনার বিষয়টির কাঠামো তৈরি করা হবে।