সুযোগটা বার্সেলোনার একদম হাতের নাগালেই ছিল। তবে কাজে লাগাতে পারলো না জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। বল দখলের পাশপাশি আক্রমণে আধিপত্য বিস্তার করলেও অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের জাল খুঁজে পেল না কেউ। একই অবস্থা ছিল প্রতিপক্ষের। তাতে গোলশূন্য সমতায় শেষে হলো লড়াই।
রোববার (৩ মার্চ) বিলবাওয়ের মাঠ সান মামেস ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে রেখে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে বার্সেলোনা। দশম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় তারা। ইলকাই গুনদোয়ানের ফ্রি-কিকে ছয় গজ বক্সের মুখে আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনের হেড উড়ে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে।
এর মাঝেই ২৪তম মিনিটে মাঝমাঠের ভরসা ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংকে হারায় বার্সেলোনা। মাঠে চিকিৎসা নিয়েও আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি এই ডাচ মিডফিল্ডার। তার বদলি নামেন তরুণ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফেরমিন লোপেস।
৩১তম মিনিটে ফেরমিনের শট ক্লিয়ার করে বিলবাওকে রক্ষা করেন তাদের গোলরক্ষক উনাই সিমোন। বিরতির আগে আরেকটি ধাক্কা খায় বার্সেলোনা। এবার চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন পেদ্রি। তার জায়গায় নামেন লামিন ইয়ামাল। তবে প্রথমার্ধে স্কোরলাইনের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে চলতে থাকে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ। তবে কোনো গোলরক্ষককে সত্যিকারের পরীক্ষায় ফেলতে পারছিল না কেউই। একবার সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। তবে ইয়ামাল প্রতিপক্ষের বক্সে পড়ে গেলেও পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি রেফারি। ফলে গোলশূন্য শেষ হয় দুই দলের লড়াই।'
এই ড্রয়ে ২৭ ম্যাচে ১৭ জয় ও ৭ ড্র নিয়ে ৫৮ পয়েন্ট অর্জন করে নিয়ে তিনে আছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দুইয়ে জিরোনা। শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের ৬৬ পয়েন্ট। ৫০ পয়েন্ট নিয়ে বিলবাও আছে পাঁচে।