টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সামনে বাংলাদেশ ভালো সময় কাটাবে বলে বিশ্বাস করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার এই বিশ্বাসের পেছনে বড় শক্তি দলের কম্বিনেশন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় সেরা ক্রিকেটার খেলছে বলেও মত দিয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ হেরে গিয়েছিল অন্তিম মুহূর্তে। সিলেটে ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ ৩ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী অনিকের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে শুরুর বিপর্যয় সামলে কড়া জবাব দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু তীরে গিয়ে তরি ডুবায় স্বাগতিকরা।
তবে দ্বিতীয় ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্তর দল ঘুরে দাঁড়ায় দারুণভাবে। ম্যাচ জিতে নেয় ৮ উইকেটে। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা। শেষ ম্যাচে হবে সিরিজ নির্ধারণী।
ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের আশাবাদ নাজমুল হাসানের। গণমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘আশা করেছিলাম প্রথমটাও জিতব। জেতার সম্ভবনা ভালো (সিরিজ)। আগেও যদি দেখেন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। আগে থেকে তাই অনুমান করা কঠিন। আমি বিশ্বাস করি আমাদের যে পোটেনশিয়াল আছে…আমাদের প্রথম ম্যাচের শুরুটা (ব্যাটিং) যদি একটু ভালো হতো…এমন না যে ওদের পোটেনশিয়াল নেই। যদি না থাকত তাহলে তো দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে পারত না। এমন কাউকে তো নেওয়া হয়নি যে পারে না। পরের দিকে কি আছে আমরা তো জানি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, অনিক আছে। এতো ভালো একটা কম্বিনেশন আমরা খুব কমই পেয়েছি। আমার মনে হয় সামনের ম্যাচটাও ভালো করবে।’
তবে সাকিব ও তামিমের বিকল্প এখনও তৈরি হয়নি বলেও জানালেন তিনি। সাকিব এই দলে যুক্ত হলে দলের শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে।
‘মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিং নিয়ে কখনো কোনো সন্দেহ ছিল না। আমি এটা ক্ল্যারিফাই করে দিলাম। এখন সাকিব যদি আসে তাহলে টিমটা শক্তিশালী হবে এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সাকিবের মতো খেলোয়াড় তো পাবো না। তামিম যদি আসে, ওর মতো ওপেনার বাংলাদেশে আছে নাকি! সেগুলো অন্য কথা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নিশ্চিতভাবে যে পোটেনশিয়াল আছে সেটা ছোট করে দেখার কোনো সুযোগই নেই।’
‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের সাবস্টিউট আমরা দেখিনি। যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, এখন পর্যন্ত কেউ তামিম হয়ে উঠেনি। হয়তো ভালো খেলে। এখন পর্যন্ত কেউ সাকিব হবার প্রশ্নই উঠে না। যদি আসেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ ওদের মতো খেলোয়াড় হয়ে গেছে বলার মতো কেউ আসেনি। পটেনশিয়াল অনেক খেলোয়াড় আছে। সিনিয়র জুনিয়র মিলিয়ে তারা যদি এগিয়ে যেতে পারে তাহলে নতুন যারা আছে তাদেরও ভালো হবে।’ –যোগ করেন তিনি।
এ বছর যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে কোনো সিরিজ হারেনি। ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে করে সিরিজ ড্র। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কেমন করে সেটাই দেখার।
সামনে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতেও ব্যস্ত সূচি। জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশে আসবে পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপের আগে একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে।