ইনজুরি থেকে ফিরেই আগের ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছিলেন রশিদ খান। তবে জিততে পারেনি তার দল। দ্বিতীয় ম্যাচে আর সেই ভুল হলো না। তার সঙ্গে ব্যাটে-বলে সমানতালে জ্বলে উঠলেন আরেক অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। তাতে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ১০ রানে হারিয়ে সমতায় ফিরলো আফগানিস্তান।
রোববার (১৭ মার্চ) শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপাকে পড়ে যায় আফগানিস্তান। বল হাতে আফগান ব্যাটারদের নাকানিচুবানি খাওয়ান মার্ক অ্যাডায়ার ও জশ লিটল। তাতে ১৪ রানেই ৪ উইকেট হারায় আফগানরা।
সেখান থেকে ওপেনার সাদিকউল্লাহ আটালকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন নবী। পঞ্চম উইকেটে দুজন যোগ করেন ৫৬ বলে ৭৮ রান। ৩২ বলে ৩৫ রান করে সাদিকউল্লাহর রান আউটে ভাঙে এই জুটি। এরপর দল একশ পার করলে থামেন নবীও। আউট হওয়ার আগে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস।
এরপর শেষের দিকে নেমে ঝড় তোলেন রশিদ খান। নবম ব্যাটার হিসেবে নেমে ৩ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ১২ বলে ১৫ রানের ইনিংস। তার এই ছোট্ট ক্যামিওতে ১৫২ রানে পৌঁছায় আফগানিস্তান।
আয়ারাল্যান্ডের পক্ষে অ্যাডায়ার নেন তিন উইকেট, লিটল ও ব্যারি ম্যাককার্থি দুটি করে।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ৪ ওভারে ৪৩ রান তুলে ফেলেন অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও পল স্টার্লিং। তবে এরপর পথ হারায় তারা। ১৫ বলে ২৪ রান করা স্টার্লিংকে ফিরিয়ে ৪৯ রানের জুটি ভাঙেন নানগেলিয়া খারোটে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা।
রশিদ আক্রমণে এসে টানা দুই বলে ফেরান লর্কান টাকার ও হ্যারি টেক্টরকে। এরপর বিপজ্জনক কার্টিস ক্যাম্পারকে বিদায় করেন নবী। একপ্রান্ত আগলে রাখা বালবার্নি শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ৪৫ করে আউট হন খারোটের বাঁহাতি স্পিনে।
নিজের শেষ ওভারে রশিদ আরও দুই উইকেট তুলে নিলে ৯৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে পড়ে আয়ারল্যান্ড। শেষদিকে একাই লড়াই করেন গ্যারেথ ডেল্যানি। তার ইনিংস থামে ১৮ বলে ৩৯ রানে। সেই সঙ্গে আইরিশদের ইনিংস শেষ হয় ১৪২ রানে।