খেলাধুলা

বাংলাদেশকে বেশিদূর যেতে দিতে চায় না শ্রীলঙ্কা

৫৭ রানে নেই ৫ উইকেট। উইকেটের সংখ্যাটা আরো বাড়তে পারত। কিন্তু কামিন্দু মেন্ডিসের ক্যাচ স্লিপে মিস করেন মাহমুদুল হাসান জয়। শূন্য রানে জীবন পাওয়ার পর কামিন্দু জুটি বাঁধেন অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তাদের ২০২ রানের জুটি ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় বাংলাদেশকে। দুই ব্যাটসম্যানই পেয়েছেন সেঞ্চুরি। থেমেছেন একই ১০২ রানে। তাদের জুটিতে প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানের পুঁজি পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।

প্রথম দিনের খেলা শেষেও তাই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন সেঞ্চুরিয়ান মেন্ডিস। তবে উইকেটে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না তা বলতে দ্বিধা করেননি, ‘এই উইকেটে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। আমরা ৫৭ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়েছিলাম। আমরা চিন্তা করেছিলাম লম্বা সময় ব্যাটিং করবো। নিজেদেরকে সময় দেব। এই ভাবনাতেই আমরা এগিয়ে গিয়েছি।’

উইকেটে থিতু হওয়ার পর প্রতি আক্রমণে রান তোলেন দুই ব্যাটসম্যান। বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন মেন্ডিস। ১১ চার ও ৩ ছক্কায় সাজান ১২৭ বলে ১০২ রানের ইনিংস। নিজের পারফরম্যান্সে দারুণ উচ্ছ্বসিত মেন্ডিস,‘আমি বেশ খুশি। এটা আমার দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। আমাদের টেস্ট দলটা সাজানো। তাই সুযোগ পাওয়া কঠিন। শেষ কয়েক বছর আমি লাগাতার পরিশ্রম করেছি। নিজের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। আমি কৃতজ্ঞ সিনিয়রদের প্রতি যাদের সান্নিধ্যে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। সেই সব জিনিসই আজকের সেঞ্চুরি পেতে ভূমিকা রেখেছে।’

‘৫০ রানের ভেতরে ৫ উইকেট হারানো অস্বাভাবিক কিছু হয়। মাঝে মাঝে টেস্ট ক্রিকেটে এটা হতে পারে। তাদের পেস বোলাররা ভালো জায়গা বোলিং করেছে। উইকেট পেসারদের সাহায্যও করেছে। সঙ্গে আবহাওয়া গুমোট ছিল।’– যোগ করেন মেন্ডিস।

ধনাঞ্জয়া ও মেন্ডিস গলের রিচমন্ড কলেজে একই সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। স্কুলের বড় ভাই ধনাঞ্জয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে ব্যাটিং করে দলকে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে যেতে পারে তৃপ্ত মেন্ডিস, ‘আমরা একই স্কুলে পড়েছি। ধনাঞ্জয়াকে আমি সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবেই মানি। খুবই খুশি তার সঙ্গে খেলতে পারছি যে আমাদের টেস্ট অধিনায়কও।’

পড়ন্ত বিকেলে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। মাথার ওপর এখনও ২৪৮ রানের ভার। বাংলাদেশকে দ্বিতীয় দিনে আরো চাপে রাখতে চান মেন্ডিস, ‘আমাদের পেসাররা ভালো শুরু পেয়েছে। ৩০ রানের ভেতরেই ৩ উইকেট পেয়ে গেছে। আশা করছি সকালে আমরা দ্রুত আরো একটি বা উইকেট তুলে নিতে পারব। তাহলে তাদের আটকে রাখতে সহজ হবে।’