খেলাধুলা

‘লিটনের কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে, ব্রেক দরকার’

লিটন কুমার দাসের মতো ব্যাটসম্যান সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এমন শট খেলবেন তা কেউ কল্পনাও করতে পারছেন না। কিন্তু কল্পনাকে হার মানিয়ে লিটন অবিশ্বাস্য শট খেলে আউট হয়েছেন। তাতে প্রবল সমালোচিত হচ্ছেন।

ব্যাখ্যাতীত সেই শটের কোনো কারণ খুঁজে পান না কেউ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এমন আউটের দায় নিতে চান না। সাফ জানিয়ে দেন, ওই সময়ে লিটনের মাথায় কি কাজ করেছিল জানা নেই তার। তবে বিসিবি চাইলেই সবকিছুকে সহজভাবে নিতে পারে না। সাম্প্রতিক সময়ে তার ওয়ানডের পারফরম্যান্সও আশানুরূপ নয়। তাই তাকে ওয়ানডে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দলেও তাকে রাখার পক্ষপাতি ছিলেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। কিন্তু সাকিব ও মুশফিকুর মতো ক্রিকেটার না থাকা এবং প্রায় অভিজ্ঞতাশূন্য একটি দল নামায় লিটনকে খেলাতে বাধ্য হয় তারা। নয়তো ওয়ানডের মতো টেস্টেও তাকে বাদ দেওয়ার চিন্তা ছিল।

মঙ্গলবার বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘লিটনের পারফরম্যান্স গত বিশ্বকাপ থেকেই দেখছি সামথিং রং। সেজন্য কিন্তু ওয়ানডে থেকেও বাদ পড়েছিল। ওর মতো ওপেনারকে, যারা আমরা এতো বছর খেলিয়েছি, যার ওপর আমরা ডিপেন্ড করেছি এবং ও পারফর্মও করেছে। এমন না যে ও খেলা পারে না। অসাধারণ খেলোয়াড়। কিন্তু কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে সেজন্য আমরা তাকে ওয়ানডে থেকে ড্রপও করেছি। এর চেয়ে বড় সিগন্যাল আর কিছু হতে পারে না।’

‘টেস্ট ম্যাচটায় ওকে না খেলালেও ভালো হতো। কিন্তু তখন আপনারা সবাই বলতেন টেস্টে তার এমন রেকর্ড, এই-সেই, কেন তাকে টেস্ট দল থেকে বাদ দিলো, হুলস্থূল খামাখা মানুষ করতো। কিন্তু ওকে এই সময়টায় ব্রেক দিলে ভালোভাবে কামব্যাক করে আসতে পারত। আরেকটু কিছু সময় যদি ব্রেক দেওয়া যেত।’ – যোগ করেন নাজমুল হাসান।

টেস্ট থেকে বিরতি দিলে লিটনেরই ভালো হতো বলে মন্তব্য করেছেন বিসিবি সভাপতি, ‘ব্রেকটা তার দারকার। এ ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত তো নিয়েছি। তাকে অলরেডি একটা ব্রেকে পাঠানো হয়েছিল। সমস্যা হচ্ছে ওর টেস্টে যে পরিসংখ্যান, ছয় বা পাঁচ নম্বরে যেভাবে সে রান করে গেছে ভালো খেলেছে সেটাকে ফেলে দেওয়ার মতো না। কিন্তু আমরা জানি এই সময়টায় ওর ব্রেক দরকার। নাথিং এলস। ওকে বাদ দিতে বলছি না। একটা ব্রেক দিলে ও আবার কামব্যাক করবে। সেই ব্রেকটা তাকে দেওয়া উচিৎ ছিল। কোনো কারণটায় হয়তো দেয়নি। যেহেতু মুশফিক ও সাকিব নেই আবার লিটনও যদি না থাকে…সব কিছু চিন্তা করেই ওকে রাখা হয়েছিল। এখন বাকিটা সামনে দেখতে হবে। এখানে চিফ সিলেকটরও আছে। দেখি কথা বলে কি হয়।’

বর্তমান স্কোয়াডে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আছেন যারা কেবল টেস্ট ক্রিকেটাই খেলেন। জয়, খালেদ, মুমিনুল রয়েছেন যারা সাদা পোশাকে বেশি ম্যাচ খেলেছেন। তাদের মতো আরও কয়েকজনকে নিয়ে শক্তিশালী টেস্ট দল তৈরির কথা বললেন নাজমুল হাসান, ‘আমাদের সমস্যা হচ্ছে, অন্যান্য দেশে, বেশিরভাগ দেশে স্কোয়াড আলাদা আলাদা সেট আপ আছে। আমাদের শরিফুলকে ব্রেক দেওয়া দরকার। সেই ওয়ানডে থেকে বলছি। কিন্তু পারছি না তো। কারণ, আমাদের অন্যান্য খেলোয়াড়গুলো ইনজুরিতে সেজন্য। বেশিরভাগ দেশেই কিন্তু টেস্টের আলাদা দল, টি-টোয়েন্টির আলাদা দল আছে। আমাদের সমস্যা হচ্ছে যাকেই আমরা ১৫ জনে ঠিক করি না তাদেরকে আমরা সব ফরম্যাটে রাখছি। ব্যতিক্রম কেবল মুমিনুল। জয় আছে। তাইজুল আছে। খালেদ আছে। এদের মতো কারো কয়েক জনকে পেলে ভালো হতো। তাদেরকে আলাদা করা দরকার। এতো দিন মনে হয়েছিল আমাদের আর পেসার লাগবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আরও ২-৩ জন পেসার লাগবে।’