২০২৩ আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। আইসিসির সবধরণের ইভেন্টে এটি অজি পুরুষ ক্রিকেট দলের নবম ট্রফি। তখনও অস্ট্রেলিয়া নারী দল থেকে চারটি ট্রফি পিছিয়ে প্যাট কামিন্সের দল। নারী ও পুরুষ দলের ট্রফি নিয়ে তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় হাস্যরস।
হাস্যরস যাই হোক না কেন নারী ক্রিকেটে যে অজিদের একক আধিপত্য তা ট্রফির সংখ্যাতেই স্পষ্ট। সেই মাইটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। আইসিসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভূক্ত ওয়ানডে সিরিজ শেষ হয়েছে। ফলাফল অনুমিত, বাংলাদেশের হার। কিন্তু যেভাবে হেরেছে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের দল, তাতে তাদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টানা তৃতীয় ওয়ানডেতে একশ’র আগেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ৮৯ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক শিবির। তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৮.৩ ওভারে ২ উইকেটে হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম সিরিজে ধবলধোলাই হলো বাংলাদেশ!
লক্ষ্যে খেলতে নেমে অজিদের বেশি কসরত করতে হয়নি। অ্যালিসা হিলি-লিফচফিল্ডের জুটি থেকে আসে ৪৩ রান। লিফচফিল্ড ১২ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ১১ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন হিলিও। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ ৩৩ রান। এরপর অ্যালিসা পেরি-বেথ মুনি ম্যাচ শেষ করে আসেন। প্যারি ২৭ ও মুনি ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন সুলতানা খাতুন-রাবেয়া আক্তার।
এর আগে ব্যাটিং করেতে নেমে উইকেটে মিছিলে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ৮৯ রানে। ২৬.২ ওভারেই শেষ ইনিংস! বরাবরের মতো শুরু থেকে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভার থেকে শুরু হয় উইকেটের পতন। শূন্যরানে ফেরেন সুমাইয়া আক্তার। ১০.৩ ওভার না যেতেই ৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিক শিবির।
এরপর স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে লড়াইয়ের আভাস দেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। কিন্তু দুজনের জুটি থেকে ২১ রানের বেশি আসেনি। সর্বোচ্চ ১৬ রানে জ্যোতি আউট হলে ভাঙ্গে এই জুটি। তার আউটের পর বাংলাদেশ আর করতে পারে মাত্র ৩৬ রান।
শেষ দিকে দুই বোলার মারুফা আক্তার-সুলতানা খাতুন ২৫ রান যোগ না করলে আরও আগেই থামতে হতো। সুলতানা ১০ রান করে ফেরেন, মারুফা অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে। অজিদের হয়ে সর্বোচ ৩টি করে উইকেট নেন গার্থ ও গার্ডনার।