এই সাফল্যকে পেস বিপ্লব বললে বড্ড বাড়াবাড়ি হবে না নিশ্চয়ই। নিকট অতীতে এমন সাফল্য তো তাদের নেই। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে দুই ম্যাচে ২৯ উইকেট নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার তিন পেসার সামিন্দা ইরাঙ্গা, নুয়ান প্রদীপ ও ধামিকা প্রসাদ। দশ বছর পর সিংহের দলের পেসাররা অতীতের সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড ভাঙলেন। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৩০ উইকেট পেয়েছেন বিশ্ব ফার্নান্দো-লাহিরু কুমারারা। সংখ্যাটা আরো বড় হতে পারে। যদি চট্টগ্রামে পঞ্চম দিনে বাংলাদেশের অবশিষ্ট ৩ উইকেট নিতে পারেন অতিথিদের তিন পেসার।
সিলেটে তিন পেসার লাহিরু কুমারা, বিশ্ব ফার্নান্দো ও কাশুন রাজিথা মিলে ১০ উইকেট পেয়েছিলেন। সিলেটের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা চট্টগ্রামেও টেনে এনেছেন তারা। ইনজুরির কারণে রাজিথা খেলতে পারছেন না। তার জায়গায় এসেছেন আসিথা ফার্নান্দো। বাকি দুজনকে নিয়ে আসিথাও এই টেস্টে উড়েছেন। দলের পেসারদের এমন সাফল্যে বেশ খুশি শ্রীলঙ্কার হেড কোচ সিলভারউড।
মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সিলভারউড বলেছেন, ‘আমরা এই সিরিজে দুর্দান্ত কাজ করেছি। ছেলেরা নিজেদের সামর্থ্য ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। হৃদয় দিয়ে খেলেছে তারা। তাদের লক্ষ্য এবং সামর্থ্য দেখিয়েছে। তারা ভিন্ন কন্ডিশনে কি রকম বোলিং করতে হবে সেটা শিখে গেছে। শেষ টেস্টে উইকেট একদমই ভিন্ন ছিল। এই টেস্টে তাই আমাদের ভিন্ন কিছু করতে হতো। তারা দ্রুত মানিয়ে নিতে পেরেছে। তারা এখনও উন্নতি করছে। আরো কিছু শিখতে হবে। প্রতিটা সিরিজেই তারা উন্নতি করছে।’
বাংলাদেশ ৫১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৬৮ রানে দিন শেষ করেছে। পেসারার এই ইনিংসেও ম্যাচের গতিপথ পরিবর্তন করেছেন বলে মনে করছেন সিলভারউইড, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশ আজ ভালো খেলেছে। তারা কিছুটা সময় বোলারদের চাপে ফেলেছিল। আমাদের ওপর চাপ তৈরি করতে পেরেছিল। আমরা এই উইকেটে বেশ ভালো বোলিং করেছি। কিছু সময় আরো ভালো বোলিংয়ের সুযোগ ছিল। তবুও আমি মনে করি প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও আমাদের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ছিল। ভালো লাগছে আমাদের কঠোর পরিশ্রম কাজে এসেছে।কালও একই কিছুর অপেক্ষায় থাকব।’
‘আমরা তিনের নিচে রান রেট রাখতে চেয়েছিলাম। এজন্য ধৈর্য্য ধরে শৃঙ্খল বোলিংয়ের প্রয়োজন ছিল। সেটা আমরা করতে পেরেছি। কিছু সময় আমরা ভুল করেছিলাম। বাংলাদেশ এগিয়ে গিয়েছিল। তারপরও আমরা আবার ফিরে এসেছি। এটাই আমাদের শিক্ষণীয় দিক।’ – যোগ করেন তিনি।