এফসি বায়ার্ন বাংলাদেশ ফ্যান ক্লাব ৯ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে। ঢাকার কেন্দ্রস্থলে একটি জায়গায় লাল এবং সাদা জার্সির সমুদ্রে মিশেছে ক্লাবটির সমর্থকরা। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নয়, ফুটবলপ্রেমীরা তাদের ভালোবাসা লালন করে একত্রিত হয়েছে।
ফেসবুক ফ্যান পেজের হিসেবে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশী বায়ার্ন মিউনিখ সমর্থকদের এই ক্লাবটি কেবল সংখ্যায় নয় বরং স্বীকৃতির ক্ষেত্রেও বেশ এগিয়েছে। ২০১৮ সালে বায়ার্ন মিউনিখ থেকে অফিসিয়াল স্বীকৃতি অর্জন করেছে তারা।
এই বছর বায়ার্ন ভক্তদের এই মিলনমেলা উদযাপনের জন্য একটি বিশেষ তারিখ বেছে নেওয়া হয়েছিল। বায়ার্ন মিউনিখ এবং বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মধ্যকার ক্লাসিকোর দিন ক্লাবটির সমর্থকেরা পূর্তি উদযাপন করে। এই উৎসবে ডর্টমুন্ড ভক্তদেরও যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
বায়ার্নের লোগো সম্বলিত কেক কাটার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর ম্যাচ শুরু হওয়ার সাথে সাথে, উল্লাস ও স্লোগানে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আড্ডাও হয়ে যায়। পর্দায় লড়াই ছিল তীব্র কিন্তু সময়টা ছিল বেশ উপভোগ্য।
অনুষ্ঠানে পিজ্জা এবং কোমল পানীয় ছিল খাবার হিসেবে। সেই সঙ্গে ক্যামেরার লেন্সে স্মৃতি ফ্রেম বন্দি করা তো ছিলোই। এফসি বায়ার্ন মিউনিখের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত নিয়ে একটি অ্যানিমেটেড মিটিংও ছিল। অনুষ্ঠানটি এতোই উপভোগ্য ছিল যে ম্যাচে হারজিত কোনো প্রভাব ফেলেনি।
এফসি বায়ার্ন বাংলাদেশ ফ্যানক্লাবের নবম বর্ষপূর্তি উদযাপন একটি অনুষ্ঠানের চেয়েও বেশি কিছু ছিল। অনেক সমর্থককে একত্রিত করা এবং দারুণ কিছু স্মৃতি উপহার দিয়েছে। অনুষ্ঠানের শেষে যে বিষয়টি পরিলক্ষিত হয় সেটা হলো, বায়ার্ন মিউনিখের প্রতি ভালবাসা এবং সুন্দর খেলার মাধ্যমে সমস্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতাকে বন্ধুত্বে রূপ দেওয়া।