ঈদুল ফিতরের ছুটির পর মাঠে নেমেই সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ছুটেছে ঐতিহ্যবাহী আবাহনী লিমিটেডের রানের ফোয়ারা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দশম রাউন্ডে মুখোমুখি হয় আবাহনী-প্রাইম ব্যাংক। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ৩৪১ রানের পাহাড় গড়ে আবাহনী।
ব্যাটিংয়ে আবাহনীর শুরুটা হয় দারুণ। নাঈম শেখ-এনামুল হক বিজয়ের জুটি থেকে আসে ১১০ রান। বিজয় ৪৫ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। নতুন ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৮৯ রানের জুটি গড়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন নাঈম।
৯৭ বলে শতকের দেখা পান এই বাঁহাতি ওপেনার। শেষ পর্যন্ত আউট হন ১০৪ বলে ১০৫ রান করে। ১২টি চার ও ৪টি ছয়ে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি নাঈমের অষ্টম সেঞ্চুরি। চলতি আসরে এর আগে তিন ফিফটি পেলেও আজই প্রথম তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন নাঈম।
নাঈম ফিরলে শান্তর সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফুলে ফেঁপে উঠে আবাহনীর পুঁজি। অলক কাপালিকে কাভারে খেলে মাত্র ৭৭ বলে শতকের দেখা পান শান্ত। অন্য প্রান্তে থাকা তাওহীদের ব্যাট থেকে আসে ঝড়ো ফিফটি। দুজনে তৃতীয় উইকেটের জুটিতে যোগ করেন ১২৩ রান।
শান্ত ৪৮.৩ ওভারে ১১৮ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। মাত্র ৮৫ বলে ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় এই রান করেন শান্ত। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে শান্তর এটি ১১তম সেঞ্চুরি। চলতি আসরে প্রথম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অফ-ফর্মে থাকা শান্তর জন্য এই সেঞ্চুরি টনিক হিসেবে কাজ করবে।
শান্তর আউটের পর আফিফ হোসেন ফেরেন শূন্যরানে। নতুন ব্যাটার জাকের আলী অনিককে নিয়ে ইনিংস শেষ করে আসেন তাওহীদ। তিনি অপরাজিত ছিলেন মাত্র ৩৫ বলে ৬৫ রান করে।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে দুই পেসার হাসান মাহমুদ-রেজাউর রহমান রাজা রান দেন হাত খুলে। সমান ১০ ওভারে দুজনে দেন ৭৬ রান করে। হাসান ২ উইকেট পেলেও রাজার ঝুলিতে জমা হয় ১টি উইকেট।