খেলাধুলা

তামিমদের ব্যর্থতায় ম্লান মুশফিকের সেঞ্চুরি, আবাহনী দশে দশ

তানজীম হাসান সাকিবকে পুল করে দারুণ চারে বাউন্ডারির বাইরে পাঠান মুশফিকুর রহিম। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিডিসিএল) খেলতে নেমেই সেঞ্চুরির দেখা পান প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের এই ব্যাটার। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে সংশয় উড়িয়ে মুশফিকের সেঞ্চুরি হলেও আবাহনীর লিমিটেডের রান পাহাড় টপকাতে পারেনি তামিম ইকবালের দল।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (১৫ এপ্রিল) মুখোমুখি হয় আবাহনী-প্রাইম ব্যাংক। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মোহাম্মদ নাঈম শেখ-নাজমুল হোসেন শান্তর শতকে ভর করে ৩৪১ রানের পাহাড় গড়ে আবাহনী। তাড়া করতে নেমে মুশফিকের শতকের পরও ২৮৩ রানে থামে প্রাইমব্যাংক। ৫৮ রানে জয় পায় আবাহনী। এই নিয়ে টানা ১০ ম্যাচে জয় পেয়েছে আকাশী-নীল জার্সিধারীরা। অন্যদিকে দশম ম্যাচে এসে প্রাইম ব্যাংকের এটি চতুর্থ হার।

মুশফিক এক প্রান্তে আগলে রেখে খেললেও অপর প্রান্তে তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো যেন কেউ ছিল না। শেষ দিকে হাসান মাহমুদ চার-ছয়ের ঝড় তুলে দারুণ সঙ্গ দিলেও ততক্ষণে বড্ড দেরি। মুশফিক ১১১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। সেঞ্চুরির দেখা পান ৯৬ বলে। ১৪টি চারে মুশফিকের ইনিংসটি সাজানো ছিল। হাসান মাত্র ২৪ বলে ৩৪ রান করেন। নবম উইকেটের জুটিতে মুশফিক-হাসান যোগ করেন ৪৬ রান।

প্রাইম ব্যাংক শুরুতেই ধাক্কা খায়। ১ রানে ফেরেন তামিম। ১৯ রান না হতেই নাই হয়ে যায় ২ উইকেট। ৫০ রান স্কোরবোর্ডে জমা হওয়ার আগে পড়ে আরও একটি উইকেট। শুরুতে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন দারুণ খেললেও তাকে সঙ্গ দেওয়ার কেউ ছিল না। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান। মাঝে শেখ মেহেদি ২৫, অলক কাপালি ১৮ রান করেন। আবাহনীর হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ-তানজীম হাসান সাকিব।

এর আগে ব্যাটিংয়ে আবাহনীর শুরুটা হয় দারুণ। নাঈম শেখ-এনামুল হক বিজয়ের জুটি থেকে আসে ১১০ রান। বিজয় ৪৫ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। নতুন ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৮৯ রানের জুটি গড়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন নাঈম।

৯৭ বলে শতকের দেখা পান এই বাঁহাতি ওপেনার। শেষ পর্যন্ত আউট হন ১০৪ বলে ১০৫ রান করে। ১২টি চার ও ৪টি ছয়ে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি নাঈমের অষ্টম সেঞ্চুরি। চলতি আসরে এর আগে তিন ফিফটি পেলেও আজই প্রথম তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন নাঈম।

নাঈম ফিরলে শান্তর সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফুলে ফেঁপে উঠে আবাহনীর পুঁজি। অলক কাপালিকে কাভারে খেলে মাত্র ৭৭ বলে শতকের দেখা পান শান্ত। অন্য প্রান্তে থাকা তাওহীদের ব্যাট থেকে আসে ঝড়ো ফিফটি। দুজনে তৃতীয় উইকেটের জুটিতে যোগ করেন ১২৩ রান।

শান্ত ৪৮.৩ ওভারে ১১৮ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। মাত্র ৮৫ বলে ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় এই রান করেন শান্ত। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে শান্তর এটি ১১তম সেঞ্চুরি। চলতি আসরে প্রথম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অফ-ফর্মে থাকা শান্তর জন্য এই সেঞ্চুরি টনিক হিসেবে কাজ করবে।

শান্তর আউটের পর আফিফ হোসেন ফেরেন শূন্যরানে। নতুন ব্যাটার জাকের আলী অনিককে নিয়ে ইনিংস শেষ করে আসেন তাওহীদ। তিনি অপরাজিত ছিলেন মাত্র ৩৫ বলে ৬৫ রান করে।

প্রাইম ব্যাংকের হয়ে দুই পেসার হাসান মাহমুদ-রেজাউর রহমান রাজা রান দেন হাত খুলে। সমান ১০ ওভারে দুজনে দেন ৭৬ রান করে। হাসান ২ উইকেট পেলেও রাজার ঝুলিতে জমা হয় ১টি উইকেট।