খেলাধুলা

মুশতাকের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বিসিবি

৫২ টেস্টে ১৮৫ উইকেট। ১৪৪ ওয়ানডেতে সংখ্যাটা ১৬১। ৯২’র বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক। বল হাতে লেগ স্পিনে মায়াময় ঘূর্ণি তার। পাকিস্তান ক্রিকেটের কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে নতুন এক সম্পর্কে নাম লিখাতে যাচ্ছেন। কিংবদন্তি স্পিনার বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে যুক্ত হচ্ছেন। লম্বা সময়ের জন্য নয়। আপাতত আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্তই চুক্তি তার সঙ্গে। এরপর সুযোগ বুঝে বিসিবি তার সঙ্গে চুক্তি বাড়াবে। তবে স্বল্প এ সময়েও মুশতাকের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বিসিবি।

ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘আমরা তাকে নিয়ে এসেছি জিম্বাবুয়ে সিরিজ ও বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে। আলাপ আলোচনা হয়েছে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য। কিভাবে আমরা বেনিফিটেড হতে পারি সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত হয়নি।’ 

‘মুশতাক আহমেদের লেভেলের একজন স্পিন কোচ যদি বাংলাদেশে আসে… আমাদের একজন ডানহাতি লেগ স্পিনারের ঘাটতি আছে। সে যদি রিশাদ হোসেন বাদে (রিশাদ এখন জাতীয় দলে আছে), বাকি প্রতিশ্রুতিশীল যারা আছে এমন দুয়েকজন, তাদের জন্য বড় একটা সাপোর্ট হবে। মুশতাক আহমেদের যেই গভীর অভিজ্ঞতা এটা তাদের সঙ্গে শেয়ার করাটা বিরাট ব্যাপার হবে।’

স্পিন হান্ট করার পরিকল্পনার কথাও ভাবছে বিসিবি, ‘একই সঙ্গে মুশতাক আহমেদ আমাদের সঙ্গে থাকার সময়ে যদি আমাদের দেশে আনাচে-কানাচে আরও ভালো মানের লেগ স্পিনার থাকে যারা এক্সপোজার পায়নি, তাকে দিয়ে যদি স্পিনার হান্টটা করতে পারি আমাদের জন্য খুবই ভালো হবে। লেগ স্পিনারদের ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে। আমরা কিন্তু আগেও করেছিলাম একবার। এখন খুব রেয়ার হয়ে যায় রাইট আর্ম লেগ স্পিনার পাওয়া। তারপরও ও আসার পর কেউ যদি ইন্সপায়ার্ড হতে পারে। কারণ, মুশতাক আহমেদের কাছে অনেক বেশি টিপস পাওয়া যাবে। তার এতো অভিজ্ঞতা, বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা, কোচিং এবং প্লেয়িং ক্যারিয়ার মিলিয়ে এটা একটা ভিন্ন পরিবেশ তৈরি করতে পারবে। এটা বিগ হেল্প। আমরা তার থেকে ওই সাপোর্টটা পেতেও পারি।’

কিছুদিন আগে খবর বেরিয়েছিল, কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশে ফিরবেন না। হাথুরুসিংহকে নিয়ে কোনো ধোঁয়াশা নেই বলে জানিয়েছেন জালাল ইউনুস। পূর্বের সূচির মতো ২১ এপ্রিল রাতে তিনি ঢাকায় আসছেন। বাকিরাও চলে আসবেন পরদিনের মধ্যে, ‘আমাদের কাছে কোনো ধোঁয়াশা নেই (হাথুরুসিংহকে নিয়ে)। ধোঁয়াশাটা কেন? ধোঁয়াশাটা বুঝলাম না। আমাদের কাছে না। আমরা কি কোনো স্টেটমেন্ট দিয়েছি। তাহলে ধোঁয়াশা কোথায়? এই দায়ভার আমাদের না।’