খেলাধুলা

ফিটনেসে সবার পারফরম্যান্স ‘এভারেজ’

দিনের আলো ফোটার আগেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তাদের ফিটনেস কোন অবস্থায় আছে তা জানতে অ্যাথলেটিক্স টার্ফে ট্রেনিং আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দিনের প্রখর রোদে ক্রিকেটারদের যেন পুড়তে না হয় এজন্য সাত সকালে ট্রেনিং।

সকাল ৬টায় মাঠে হাজির হয়ে যান ৩৫ ক্রিকেটার। যেখানে ক্রিকেটারদের ৪০ মিটার স্প্রিন্ট এবং ১৬০০ মিটার দৌড়াতে হয়েছে। দিনের শুরুতে ওজন পরীক্ষার পর হয় স্প্রিন্ট। পরে ১৬০০ মিটার দৌড়। বিসিবির নতুন ট্রেনার ন্যাথান কিলির চাওয়াতেই অ্যাথলেটিক্স টার্ফে চলে এই ট্রেনিং। যা ক্রিকেটারদের কাছে একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। দুই ট্রেনিংয়ের পর ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে ট্রেনারের মূল্যায়ন, ‘সবার পারফরম্যান্স এভারেজ।’

দলের সহকারী ট্রেনার ইফতিখার ইসলাম ইফতি বলেছেন, ‘এই পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝলাম খেলোয়াড়দের অবস্থাটা কী। এটার মধ্যে পাশ-ফেলের কিছু নেই। ডিপিএল, বিপিএল গেছে। এরপর ওদের ফিটনেসের অবস্থা কী সেটা জানার জন্য এই আয়োজন। এভারেজ পারফরম্যান্স সবার, গুড। তবে আমাদের উন্নতির জায়গা আছে। আমরা ট্রেনাররা গুড বলতে পারি না, বলি না আসলে কারণ আমাদের চাহিদার শেষ নেই। ফিটনেস ভালোই আছে সবার।’

টার্ফে প্রথমবার মাঠে নেমে জড়তা থাকার কথা। কিন্তু ক্রিকেটারদের তেমন কিছু থাকেনি। বরং দ্রুতই তারা মানিয়ে নিতে পেরেছেন বলে দাবি ইফতির, ‘অ্যাথলেটিস ট্র্যাক বেছে নেওয়া…আসলে টাইমিংয়ের একটা বিষয় আছে। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণ করি তাহলে বেশ কিছু টেস্টিং ম্যাথড আছে। আমরা আজ ১৬০০ মিটার টাইম ট্রায়াল নিলাম। অ্যাথলেটিক ট্র্যাকে প্রপার টাইমিং হিসেব করা যায়। তবে ক্রিকেটারদের কাছে নতুন মনে হয়েছে।’

দুইভাগে ভাগ হয়ে ১৬০০ মিটার দৌড়ে অংশ নিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। দুই গ্রুপে প্রথম হয়েছেন দুই পেসার তানজিম হাসান সাকিব ও নাহিদ রানা। রানিং ভেস্ট নিয়ে ক্রিকেটাররা দৌড়ানোয় বাড়তি শ্রম দিতে হয়েছে। সঙ্গে তাদের টাইমিংও অ্যাকুরেট এসেছে।