স্কোরোবোর্ডে লড়াকু পুঁজি জোগাড় করেছিল পাকিস্তান। জয়ের জন্য চেষ্টা করেছিল তারা। তবে মার্ক চ্যাপম্যান সব হিসেব এলোমেলো করে দেন। একবার জীবন পেয়ে সেটাকে কড়ায়গণ্ডায় কাজে লাগালেন কিউই ব্যাটার। ঝড়ো ইনিংসে দলকে এনে দিলেন ৭ উইকেটের বড় জয়। তাতে সিরিজে সমতায় ফিরলো নিউ জিল্যান্ড।
রোববার (২১ এপ্রিল) রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে দলীয় ব্যাটিং নৈপুণ্যে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান করে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে চ্যাপম্যানের অপরাজিত ফিফটিতে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০ বল আগেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে নিউ জিল্যান্ড।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব ও বাবর আজমের দারুণ ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান তুলে ফেলে পাকিস্তান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউ। ২২ বলে ৩২ রান করে ফেরেন সাইম। ২৯ বলে ৩৭ রান করেন বাবর।
মোহাম্মদ রিজওয়ান এই ম্যাচে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিলেও পায়ে ক্র্যাম্প করায় বেশিক্ষণ খেলতে পারেননি। ওয়ানডে স্টাইল শেষ হয় তার ২১ বলে ২২ রানের ইনিংস। ঘরোয়া লিগের পারফর্ম্যান্স জাতীয় দলে টেনে আনতে পারেননি উসমান খান। প্রথম ম্যাচে ৫ রানের পর এই ম্যাচ করলেন ৭ রান।
পাকিস্তান পুঁজি পায় মূলত পঞ্চম উইকেটে ইরফান খান ও শাদাব খানের জুটিতে। দুজন মিলে ৩৪ বলে যোগ করেন ৬২ রান। যেখানে ২০ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ রান করেন শাদাব। ২০ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন ইরফান।
লক্ষ্য তাড়ায় ৩০ বলে ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে নিউ জিল্যান্ডকে ভালো শুরু এনে দেন টিম রবিনসন ও টিম সাইফার্ট। সাইফার্ট ১৬ বলে ২১ রান করে আউট হওয়ার পর ১৯ বলে ২৮ রান করে ফেরেন রবিনসন। এরপর নামেন চ্যাপম্যান। তবে তাকে জীবন দেন নাসিম শাহ।
লেগ স্পিনার শাদাব খানকে সুইপ করার চেষ্টায় বল আকাশে তুলে দেন চ্যাপম্যান। স্কয়ার লেগে কয়েকবারের চেষ্টাতেও ক্যাচ নিতে পারলেন না নাসিম। ১৬ রানে জীবন পেয়ে ৪২ বলে ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ম্যাচের নায়ক বনে যান চ্যাপম্যান। তৃতীয় উইকেটে ডিন ফক্সক্রফটের সঙ্গে গড়েন ৬৮ বলে ১১৭ রানের জুটি।
শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন চ্যাপম্যান। ৯ চার ও ৪ ছক্কায় গড়া ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই। আগামী বৃহস্পতিবার সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ হবে লাহোরে।