ম্যাচটা জমে উঠেছিল বেশ। শেষ ওভারে ৬ বলে ১৯ রান। প্রথম দুই বলে দুই চারের ফলে ৮ রান নিয়ে ফেলেন রশিদ খান। মাঝে দুই বল ডট দেওয়ায় সমীকরণ দাঁড়ায় ২ বলে ১১। পঞ্চম বলে দারুণ এক ছক্কা মেরে ম্যাচটা আরও জমিয়ে তোলেন রশিদ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ বল থেকে কোনো রান নিতে পারেনি গুজরাট। তাতে ৪ রানের নাটকীয় জয় তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে পন্তের ঝড়ো ফিফটিতে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় দিল্লি। জবাব দিতে নেমে দারুণ লড়াই করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান পর্যন্ত পৌছাতে পারে গুজরাট।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করেন দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শ ও জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। দুজনের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৩৫ রান। ১৪ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান ম্যাকগার্ক। একই ওভারে ফিরেছেন পৃথ্বী। ৭ বলে ১১ রান করেন তিনি।
চারে নামা শাই হোপ সুবিধা করতে পারেননি। আউট হয়েছেন ৬ বলে ৫ রান করে। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ৪৪ রান তোলে দিল্লি, উইকেট হারায় ৩টি। এরপর শুরু হয় অক্ষর প্যাটেল এবং পন্তের তাণ্ডব। দুজনের দারুণ আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সুবাদে গতি পায় দিল্লীর ইনিংস।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দুজনই তুলে নেন ফিফটি। অক্ষর ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৩ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। শেষদিকে পন্তের সঙ্গে জুটি বেঁধে তাণ্ডব চালিয়েছেন ত্রিস্টান স্টাবস। ৭ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন স্টাবস। ৪৩ বলে ৫ চার ও ৮ ছক্কায় ৮৮ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন পন্ত।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ফিরে যান শুভমান গিল। করেন ৫ বলে ৬ রান। পরিস্থিতিটা দারুণভাবে সামাল দেন ঋদ্ধিমান সাহা এবং সাই সুদর্শন। দুজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যেতে থাকে গুজরাটের ইনিংস। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে গিলের উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান তোলে গুজরাট।
দুজন মিলে একশ রানের জুটির পথেই ছিলেন। তবে ৯৫ রানের মাথায় ২৫ বলে ৩৯ রান করে সাহা আউট হলে ভাঙে জুটি। সুদর্শন থেমেছেন ফিফটি করে ৩৯ বলে ৬৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন সুদর্শন। এরপর নেমে শুরু থেকেই ঝড় বইয়ে দেন ডেভিড মিলার। দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটার থেমেছেন ফিফটি করার পর। খেলেন ২৩ বলে ৫৫ রানের ক্যামিও।