ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনায় পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির। এই ঘটনায় কারাবাসও করেছিলেন এই পেসার। এরপর নিষেধাজ্ঞা শেষে ক্রিকেটে ফিরলেও সেই ঘটনা বারবার তাড়া করে বেড়ায় তাকে। তবে আমির সকলের কাছে আকুতি জানিয়েছেন, এই ঘটনা যেন বারবার টেনে না আনা হয়। ক্রিকেটে ফিরলেও আমির ঠিক শান্তি পাচ্ছিলেন না। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ‘টিম ম্যানেজমেন্টের মানসিক নির্যাতন’ ও প্রচণ্ড চাপকে কারণ দেখিয়ে আচমকাই তিনি বিদায় বলে দেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। চার বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্যে গত মার্চে অবসর ভেঙে ফেরার ঘোষণা দেন আমির। ফেরেন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে।
তবে আমিরের এই ফেরাকে ভালোভাবে নেননি সাবেক অধিনায়ক রামিজ রাজা। তিনি বলেন, ফিক্সিংয়ে জড়ানো ক্রিকেটারদের কখনই জাতীয় দলে ফেরানো উচিত নয়। এ প্রসঙ্গ সামনে এলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অতীত টেনে না আনতে সবার প্রতি আহ্বান জানান ৩২ বছর বয়সী আমির।
এই ঘটনায় শাস্তি পেয়েছেন জানিয়ে আকুতি করে আমির বলেন, ‘সেই বড় ভুলের জন্য আমি শাস্তি ভোগ করেছি। যদি আমার ক্যারিয়ারের দিকে তাকান, আমি ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিলাম এবং ২০২০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত অবসরে ছিলাম, তাই আমি ৯টি বছর হারিয়েছি, তবে সবকিছুকে আমি আল্লাহর ইচ্ছা হিসাবে মেনে নিয়েছি এবং সামনে এগিয়ে চলেছি।’
পারফর্ম্যান্স দিয়ে দলে সুযোগ পেয়েছেন জানিয়ে আমির বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার পরও আমাকে ও ইমাদকে জাতীয় দলে নির্বাচন করা নিয়ে কিছু লোক অনেক সমালোচনা করেছে। আমি তাদের জিজ্ঞেস করি, পাকিস্তানের প্রধান ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট কোনটা? পিএসএল। আর আমরা দুজন পিএসএলে খেলেছি এবং পারফর্ম করার পাশাপাশি অন্যান্য লিগেও নিয়মিত খেলছি।’