খেলাধুলা

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে খুবই ভয় লাগছে: পাপন 

দাপটের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দুই ম্যাচে জিতে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। কিন্তু এমন জয়ের পরও বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি এবং যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। 

‘আমরা দুটো ম্যাচ জিতেছি কনভিন্সিংলি (অনুমিতভাবে) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এটা যেমন সত্যি, ব্যাটিংটা ভালো লাগে নাই। ব্যাটিং দেখে খুবই ভয় লাগছে’-মিরপুর শের-ই-বাংলায় সংবাদমাধ্যমে এমন মন্তব্য করেন বিসিবি সভাপতি।   

ঢাকা লিগের শিরোপা তুলে দিতে সোমবার (৬ মে) মিরপুরে আসেন পাপন। আবাহনী লিমিটেডের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। এ সময় জিম্বাবুয়ে সিরিজ, বিশ্বকাপ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই কর্তা। জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিং দেখে হতাশা লুকোতে পারেননি। 

তবে বোলিং বিভাগের প্রশংসা করেছেন পাপন, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যে খেলাটা হচ্ছে সিরিজ দুটো ম্যাচ দেখেছি বোলিং কিন্তু ভালো করেছে। সাইফউদ্দিন এতোদিন পর এসে যেভাবে বল করেছে, শেখ মাহেদি যেভাবে বল করেছে, তাসকিন তো এক্কেবারে মনে হচ্ছে যে বিধ্বংসী। আমাদের মোস্তাফিজ আইপিএলে খুব ভালো খেলে এসেছে।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ টস জিতে ফিল্ডিং নেয়। আগে ব্যাটিং করে বিশ্বকাপে নিজেদের সামর্থ্য যাচাই করার সাহস পায়নি ম্যানেজমেন্ট। বোলিং বিভাগের কল্যাণে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৪ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জেতে ১৫.২ ওভারে। 

দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ১৩৮ রান করে। সেটি তাড়া করতে বাংলাদেশ খেলে ১৮.৩ ওভার। টপ অর্ডার ব্যাটাররা ব্যর্থ হন। ধীরগতিতে খেলে থিতু হয়েও ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি। শেষ দিকে তাওহীদ হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ঝড়ো ইনিংসে ম্যাচ শেষ করে আসেন। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ঠিকঠাক ফিল্ডিং করতে পারলে টপ অর্ডারে ধ্বস নামতে পারতো। 

মূলত শান্তদের টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ দেখে আলোচনা হচ্ছে। এ সময় বিসিবি সভাপতি আইপিএলের প্রসঙ্গও টেনে আনেন, ‘এইবারের আইপিএল দেখে মানে কিছু বুঝতে পারছি না। হচ্ছেটা কী! ২৫০-৬০ করলেও জিততে পারে না। আর আমরা কী করছি? আমরা ১৪০-৪৫ করতেই হিমশিম খাচ্ছি বলে মনে হয়।’ 

‘ওরা যেভাবে খেলছে এই খেলার সাথে একটা বিরাট গ্যাপ। এই গ্যাপটা কিন্তু গতবারও মনে হয় নাই। এক বছর আগেও এমন মনে হয়নি যতটা গ্যাপ মনে হচ্ছে। এখানে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, লিটন দাস তাড়াতাড়ি ফর্মে ফিরে আসুক। এটাই চাই আমরা। শুধু লিটন দাস না, সবাই তারা তাদের বেস্ট পারফরম্যান্সে থাকুক, খেলুক। সবচেয়ে বড় কথা হলো টি-টোয়েন্টি খেলতে হলে এখন সাহস করেই খেলতে হবে’-আরও যোগ করে বিসিবি সভাপতি।