২০০৯ সালের পর প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। ওই সময়ে আয়ারল্যান্ড পুচকে হলেও এই সময়ে তারা যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই বলে কি পাকিস্তানকে হারানোর মতো শক্তিশালী?
বিশ্বাস কিংবা ভরসা রাখতে না পারলেও তাদের কিছু-ই যায়ে আসে না। কেননা আইরিশরা প্রথমবার তাদের টি-টোয়েন্টিতে হারিয়ে গড়েছে ইতিহাস।
শুক্রবার ডাবলিনে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটায় পাকিস্তান হেরেছে ৫ উইকেটে। ১৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় আয়ারল্যান্ডের শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১১ রান। আব্বাস আফ্রিদির করা ওভারের প্রথম ও চতুর্থ বলে দুটি চার হাঁকান কুর্টিস ক্যাম্পার। তৃতীয় বলে ডানহাতি ব্যাটসম্যান নেন ২ রান। এরপর পঞ্চম বলে লেগ বাই থেকে ১ রান পেলে ১ বল আগে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি আয়ারল্যান্ডের পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়। ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৩ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা।
আয়ারল্যান্ডের ঐতিহাসিক জয়ের নায়ক ওপেনার অ্যান্ডি বালবার্নি। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৫৫ বলে ৭৭ রান করেন ১০ চার ও ২ ছক্কায়। এছাড়া হেরি টেক্টর ২৭ বলে ৩৬, জর্জ ডর্করেল ১২ বলে ২৪ রান করেন। শেষ দিকে দলের জয় নিশ্চিত করেন গ্যারেথ ডিলানি (১০) ও ক্যাম্পার (১৫) ।
বড় পুঁজি নিয়েও পাকিস্তানের বোলাররা ভালো করতে পারেননি। আব্বাস আফ্রিদি ২ উইকেট নিয়ে দলের সেরা। বাকিরা, শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও ইমাদ ওয়াসিম ১টি করে উইকেট নেন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৭ রানে মোহাম্মদ রিজওয়ান রান আউট হন ১ রানে। এরপর সায়েম আইয়ুবকে নিয়ে ৮৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক বাবর আজম। সায়েম ২৯ বলে ৪৫ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। বাবর ৪৩ বলে ৫৭ রানের ইনিংসটি সাজান ৮ চার ও ১ ছক্কায়। পাকিস্তানের মধ্যভাগে কেউ জ্বলে উঠতে পারেনি। ফখর জামান ১৮ বলে ২০ রান করেন। আজম খান ও শাদাব খান খুলতে পারেননি রানের খাতা।
দলকে এই চাপ থেকে মুক্ত করেন ইফতেখার আহমেদ ও শাহীন শাহ আফ্রিদি। ১৫ বলে ৩৭ রান করেন ইফতেখার। ৩টি করে চার ও ছক্কা হাকান তিনি। এছাড়া ৮ বলে ১৪ রান করেন আফ্রিদি। দুজনের শেষ জুটিতে আসে ১৩ বলে ৩২ রান।
শেষ পর্যন্ত এই পুঁজিও দলকে জেতাতে যথেষ্ট ছিল না। আয়ারল্যান্ড সহজেই লক্ষ্য তাড়া করে বিজয়ের হাসি হেসেছে। তিন ম্যাচ সিরিজে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে।