শিরোপার আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেই। লক্ষ্য ছিল পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে মৌসুম শেষ করা। সেই কাজটা ঠিকঠাকই করেছে বার্সেলোনা। লিগের ম্যাচে রায়ো ভায়োকানোকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে টেবিলে দুইয়ে থাকা নিশ্চিত করে ফেললো জাভি হার্নান্দেজের দল।
রোববার (১৯ মে) ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শুরুতেই বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন রবার্ট লেভানডোভস্কি। বিরতির পর তিন মিনিটের মধ্যে জোড়া গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোটাই নিজেদের করে নিলেন পেদ্রি। তাতেই বড় জয়ে শীর্ষ দুইয়ে থেকে আগামী মৌসুমে স্প্যানিশ সুপার কাপে খেলাও নিশ্চিত হয়ে গেল কাতালান দলটির।
ঘরের মাঠে তৃতীয় মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। লামিনে ইয়ামালের ক্রস থেকে পাওয়া বল বুক দিয়ে বল নামিয়ে দুর্দান্ত ভলিতে জালে পাঠান লেভানডোভস্কি। চলতি মৌসুমে লা লিগায় পোলিশ তারকার গোল হলো ১৮টি।
গোল খেয়ে পাল্টা আক্রমণ করে ভায়োকানো। তবে বিশ্বস্ত প্রহরীর মতো বার্সেলোনার জাল অক্ষত রাখেন মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগান। ৩২তম মিনিটে কাছ থেকে রাফিনিয়ার শট ফেরান সফরকারী গোলরক্ষক। বিরতির আগে ভাগ্যের ফেরে দ্বিতীয় গোল পায়নি বার্সেলোনা। সার্জিও রবার্তোর হেড পোস্টে বাধা পায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ফের্মিন লোপেসের বদলি নামেন পেদ্রি। আর নেমেই ঝলক দেখান বার্সেলোনার তরুণ তারকা। ৭২ থেকে ৭৫, তিন মিনিটের মধ্যে তার দুই গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় বার্সেলোনা।
প্রথমে জোয়াও ফেলিক্সের নেওয়া শট ভায়োকানো গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দিলে ফিরতি বল বাম পায়ের শটে জালে পাঠান পেদ্রি। আর রোনাল্ড আরাউহোর থ্রু বল ধরে বক্সে ঢুকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। বাকি সময়ে আর উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
এই জয়ে ৩৭ ম্যাচে ২৫ জয় ও ৭ ড্রয়ে বার্সেলোনার ৮২ পয়েন্ট। আরেক ম্যাচে ভালেন্সিয়াকে ৩-১ গোলে হারানো জিরোনা ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে। ৩৭ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৬তম স্থানে আছে ভায়োকানো।