চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় রিয়ালের জন্য যেন ডাল-ভাত। ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরে একের পর এক শিরোপা জয়ে ১৫তম ট্রফিও শোকেসে তুললো মাদ্রিদের রাজারা। তবে এই জয়কে মোটেই সহজ মানতে পারছেন না রিয়ালের বস কার্লো আনচেলত্তি। তার মতে, ভাবনার চেয়েও কঠিন ছিল কাঙিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছানোর যাত্রা।
শনিবার (১ জুন) লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৫তম শিরোপা জিতে নেয় রিয়াল। প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের চাপে কোণঠাসা রিয়াল দ্বিতীয়ার্ধে ১০ মিনিটের ব্যবধানে ২ গোল করে নাম লেখায় ইতিহাসের পাতায়। দানি কারভাহালের পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিউস জুনিয়র।
শিরোপা জয়ের পথে নকআউট পর্বে কঠিন বাঁধা পেরোতে হয়েছে রিয়ালকে। লাইপজিগকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে তারা মুখোমুখি হয় গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির। টাইব্রেকারে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে উঠে আসে সেমিফাইনালের মঞ্চে। সেখানে দেখা আরেক জার্মান দল বায়ার্ন মিউনিখের। সেই বাঁধা পেরিয়ে ফাইনালে এসে শিরোপা ছোঁয়া।
কার্লো আনচেলত্তির কণ্ঠে ফুটে উঠলো ফাইনালের কঠিন লড়াইয়ের গল্প, ‘আমি কখনই এগুলোর সঙ্গে অভ্যস্ত হতে পারি না। কেননা, এটা কঠিন ছিল, খুবই কঠিন, প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভালো খেললাম, আরও বেশি ভারসাম্যপূর্ণ দল ছিলাম, বল কম হারালাম…এটা একটা স্বপ্ন, যেটা ছুটছে তো ছুটছেই।’
এদিকে রিয়ালের জার্সি গায়ে প্রথম মৌসুমেই কয়েকটি শিরোপার স্বাদ পেলেন জুড বেলিংহ্যাম। স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছিলেন আগেই, এরপর জিতলেন লা লিগা, এবার উঁচিয়ে ধরলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি। স্বপ্ন পূরণের আনন্দাশ্রু তাই আটকে রাখতে পারলেন না এই তরুণ।
জীবনের সেরা রাত আখ্যা দিয়ে বেলিংহ্যাম বলেন, ‘আমি সবসময় এই ম্যাচগুলো খেলার স্বপ্ন দেখেছি। জীবনের পথচলায় অনেক মানুষ বলবে, এমন কিছু করতে পারবে না…মাঝেমধ্যে সবকিছু কঠিন হয়ে পড়ে যখন মনে ভাবনা আসে, এত কষ্টের কি মানে আছে। তবে, আজকের মতো রাত সবকিছু অর্থবহ করে তোলে।’
‘আমার বাবা-মায়ের মুখ দেখার আগপর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিকই ছিল। অনেক রাত গেছে, তারা হয়তো সাতটার দিকে বাড়িতে থাকতে পারতেন; কিন্তু ১১-১২টার দিকেও আমাকে তারা ফুটবল মাঠে নিয়ে যেতেন। আমার ছোট ভাইও এখানে আছে, আমি তার জন্যও আদর্শ হতে চাই। আজকের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন, আমার জীবনের সেরা রাত।’- যোগ করেন ইংলিশ তারকা।