খেলাধুলা

পাকিস্তানকে হারিয়ে চমকে দিলো যুক্তরাষ্ট্র

সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারিয়ে চমকে দিলো যুক্তরাষ্ট্র। ১৯ রান তাড়ায় ইফতেখার-ফখর ব্যাটিং করতে আসেন শুরুতে। প্রথম বলে ওয়াইড করেন সৌরভ। কিন্তু ইফেতখার জায়গা থেকে সরে মারতে যাওয়ায় আর ওয়াইড হয়নি। দ্বিতীয় বলে ডিপ মিড উইকেটে চার হাঁকান ইফেতখার। পরের বল আবার ওয়াইড করেন সৌরভ। এবার আর জায়গা থেকে সরেননি ইফতেখার। অতিরিক্ত ১ রান পায় পাকিস্তান। তৃতীয় বলে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন ইফতেখার। লঙ অফ থেকে দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ নেন মিলিন্দ। এরপর শাদাব এসে ৩ বলে ৭ রান করেন। পাকিস্তান হারে ৫ রানে। অপর ব্যাটার ফখর ১ বলও খেলতে পারেননি। আমির এলোমেলো বোলিং করলেও সৌরভ মাত্র ১৩ রান দেন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৫৯ রান করে পাকিস্তান। তাড়া করতে নেমে যুক্তরাষ্ট্র সমান রান করে ৩ উইকেটে। মোনাঙ্ক সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন। ৩৬ রানে জোন্স ও ১৪ রানে নিতীশ অপরাজিত ছিলেন। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। আমিরের এলোমেলো বোলিংয়ে এখানেও পারেনি গতবারের রানার্সআপ পাকিস্তান। 

সুপার ওভারে এলোমেলো আমির, ৩ ওয়াইডসহ দিয়েছেন ১৮

সুপার ওভারে এলোমেলো আমির, ৩ ওয়াইডসহ দিয়েছেন ১৮ রান। পাকিস্তানকে জয়ের জন্য ১৯ রান করতে হবে। আমিরের প্রথম বলেই চার হাঁকান জোন্স। পরের পাঁচ বলে কোনো বাউন্ডারি না এলেও যুক্তরাষ্ট্র ১৪ রান নেয়। তাতে আমিরের অবদানই বেশি। ওয়াইড দিয়েছেন ৩টি, অতিরিক্ত রান আসে ৭টি। 

যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান ম্যাচ টাই, সুপার ওভারের অপেক্ষা

৬ বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন ছিল ১৫। একটি করে চার-ছয়ে ১৪ রান নিতে পারে নিতীশ-জোন্স জুটি। জোন্স ২৬ বলে ৩৬ ও নিতীশ ১৪ বলে ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৬০ রানের লক্ক্যে খেলতে নেমে ১৫৯ রানে থামে যুক্তরাষ্ট্র। হাতে ৭ উইকেট থাকলেও জয় নিশ্চিত করতে পারেনি দলটি। সুপার ওভারে আগে ব্যাটিং করছে যুক্তরাষ্ট্র। জোন্সের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন হারমীত। 

হারের শঙ্কা পাকিস্তান শিবিরে, জয় দেখছে যুক্তরাষ্ট্র

মাত্র ১৮ বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন ২৮ রান। হাতে আছে ৬০ উইকেট। মোনাংক ফিফটির পর ফিরলেও রানের চাকা সচল রেখেছে স্বাগতিক শিবির। ১৭ ওভার শেষে যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩২। 

মোনাঙ্কের ফিফটি, যুক্তরাষ্ট্রের সেঞ্চুরি, এলোমেলো পাকিস্তান 

আফ্রিদিকে টানা চার-ছয় মেরে মাত্র ৩৪ বলে ফিফটির দেখা পান যুক্তরাষ্ট্র অধিনায়ক মোনাঙ্ক। সঙ্গে ১২.৩ ওভারে দলীয় ১০০ রান পূর্ণ করে দলটি। গাউসের সঙ্গে জুটি থেকে আসে ৬৮ রান। ২৬ বলে ৩৫ রান করে গাউস আউট হলে ভাঙে জুটি। মোনাঙ্কের নতুন সঙ্গী জোনস। ৪০ বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন মাত্র ৫৬ রান। হাতে আছে ৮ উইকেট। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দলটির রান ১৩.২ ওভারে ১০৪। মোনাঙ্ক ব্যাট করছেন ৫০ রানে। এদিকে উইকেটের খোঁজে মরিয়া পাকিস্তানকে দেখাচ্ছে এলোমেলো। 

হিসেবি ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, উইকেটের খোঁজে মরিয়া পাকিস্তান

পাওয়ার প্লেতে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান নিয়ে শুরুটা দারুণ করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আরও চার ওভার খেলে ফেলেছে দলটি, কোনো প্রকার ক্ষতি ছাড়াই। ১০ ওভার শেষে হিসেবে ব্যাটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রান ১ উইকেটে ৭৬। মোনাঙ্ক ৩০ ও গাউস ১৮ রানে অপরাজিত থেকে ব্যাট করছেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ২৯ বলে ৪০ রান। যুক্তরাষ্ট্রের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৬০ বলে ৮৪, হাতে আছে ৯ উইকেট। ১ মাত্র নাসিম ছাড়া পাকিস্তানের বাকি ৪ বোলার ওভার প্রতি দিয়েছেন ৮ রান করে। নাসিম ২ ওভারে ১২ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। দলটি উইকেটের খোঁজে মরিয়া হয়ে আছে। 

আমির-আফ্রিদিদের চোখ রাঙিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দারুণ শুরু

ব্যাট হাতে ধাক্কা সামলে চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়লেও বল হাতে শুরুতে উইকেট নিতে পারেনি পাকিস্তান। প্রথম উইকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে পাওয়ার প্লে শেষ ওভার পর্যন্ত। টেলরকে ফিরিয়ে পাকিস্তান শিবিরে স্বস্তি এনে দেন নাসিম শাহ। টেলর ১৬ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। পরের বলে ক্রিজে এসেই জীবন পান গাউস। স্লিপে ক্যাচ মিস করেন ইফতেখার। উলটো এটি চার হয়। আগে থেকে ব্যাট করছেন মোনাঙ্ক (১৯) । পাওয়ার প্লে শেষে যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৪। 

শুরুর ধাক্কা সামলে পাকিস্তানের চ্যালেঞ্জ

শুরুর ধাক্কা সামলে ১৬০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছে মন্দ। মাত্র ২৬ রানে নেই ৩ উইকেট। বাবর-শাদাবের ৭২ রানের জুটিতে যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল দলটি তখনি আবার জোড়া উইকেটের পতন। শেষ পর্যন্ত টেল এন্ডারদের বদৌলতে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে থামে পাকিস্তান। আফ্রিদি ১৬  বলে ২৩ রান করে দারুণ ভূমিকা রাখেন। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন বাবর। যদিও তার ইনিংসটি ছিল ধীরগতির। বল খরচ করেন ৪৩টি। শুরুতে হাল ধরলেও আউট হন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। কার্যকরী ইনিংস খেলেন শাদাব। তিনি মাত্র ২৪ বলে ৪০ রান করেন। এ ছাড়া ইফতেখার ১৮ রানে আউট হন। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নশতুশ। এ ছাড়া ২ উইকেট নেন সৌরভ। 

জোড়া উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পাকিস্তান

বাবর-শাদাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। দুজনে ৪৮ বলে চতুর্থ উইকেটে যোগ করে ৭২ রান। দলীয় শতক থেকে যখন মাত্র ২ রান দূরে পাকিস্তান, তখনি পরপর দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান। নসতুশের বলে পরপর সাজঘরে ফেরেন শাদাব ও আজম। শাদাব ২৪ বলে ৪০ রান করেন, আজম গোল্ডেন ডাক। এলডব্লিউর বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়েও কোনো কাজ হয়নি। ১৩.২ ওভারে পাকিস্তান ১০০ রান করে। এবার ইফতেখারকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করছেন বাবর। ১৪ ওভার শেষে দলটির রান ৫ উইকেটে ১০৭।  

বাবর-শাদাবে প্রতিরোধের চেষ্টায় পাকিস্তান

দশম ওভারে জসদীপকে দুই ছয় এক চারে ২০ রান নেন বাবর-শাদাব। এর আগের ৯ ওভারে রান আসে মাত্র ৪৬টি। ওভার প্রতি মাত্র ৫! ২৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দুজনে হাল ধরার চেষ্টায় আছেন। দুজনের জুটি থেকে এখন পর্যন্ত আসে ৩২ বলে ৪০ রান। ১০ ওভার শেষে দলটির রান ৩ উইকেটে ৬৬। 

শুরুতেই পাকিস্তানকে চেপে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে অসাধারণ ক্যাচে সাজঘরে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। নেত্রাভালকারের বলে স্লিপে ঝাঁপিয়ে পরে অসাধারণ ক্যাচ ধরেন স্টিভেন টেলর। ৮ বলে ৯ রান করেন রিজওয়ান। তার ধাক্কা না সামলে উঠতেই উসমান খান-ফখর জামান। মাত্র ২৬ রানে ৩ উইকেট হারায় দলটি। উসমান ৩ ও ফখর ১১ রান করেন। ক্রিজে হাল ধরার চেষ্টায় আছেন বাবর-শাদাব। পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তান মাত্র ৩০ রান করে। উইকেট হারিয়েছ ৩টি। 

মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান 

স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মুখোমুখি হট ফেভারিট পাকিস্তান। আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বাংলাদেশ সময় সাড়ে নয়টায় ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের এই ম্যাচটি শুরু হবে। এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করবে পাকিস্তান। 

পাকিস্তান একাদশ 

বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজম, উসমান খান, ফখর জামান, আজম খান  ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান,  শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ, মোহাম্মদ আমির, নাসিম শাহ।

যুক্তরাষ্ট্র একাদশ

স্টিভেন টেলর, মোনাঙ্ক প্যাটেল (ক্যাপ্টেন), অ্যান্ড্রিস গাউস (উইকেটরক্ষক), অ্যারন জোন্স, নীতীশ কুমার, কোরি অ্যান্ডারসন, হারমিত সিং, নশতুশ কেনজিগে , জসদীপ সিং,  আলী খান, সৌরভ নেত্রাভালকার।

পাকিস্তানের চাওয়া জয় দিয়ে শুরু 

জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে চান বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। এর আগের বিশ্বকাপে রানার্স আপ হয়েছে দলটি। বাবর বলেন ‘অবশ্যই জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে চাই। যুক্তরাষ্ট্র ভালো ছন্দে আছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর, বিশ্বকাপেও ভালো শুরু করেছে। তাদের বিপক্ষে জয় পেতে হলে আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে।’

পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি 

আজ কাগজে-কলমে পাকিস্তান ফেভারিট হলেও কানাডার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের পর পাকিস্তানকে হারানোর ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল, ‘যেভাবে খেলেছি, সেভাবে বাকি ম্যাচগুলো খেলে যেতে চাই। পাকিস্তান বা ভারত, দুই দলের বিপক্ষেই নির্ভীক ক্রিকেট খেলার ইচ্ছে।’

‘জয়ের জন্য নিজেদের উজাড় করে দিবো। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আমাদের বেশ কিছু পরিকল্পনা আছে। সেগুলো মাঠে বাস্তবায়নই করাই মূল লক্ষ্য। প্রতিপক্ষকে কোনো ছাড় নয়। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে, জয়ের হাসি আমরাই হাসবো।’- আরও যোগ করেন মোনাঙ্ক।