খেলাধুলা

‘গোপনে’ ভারতের অসন্তোষ, আমলে নেয়নি আইসিসি

প্রবল সমালোচনা হওয়া সত্ত্বেও নিউ ইয়র্কের নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে কোনো ম্যাচ সরাবে না ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজকরা জানিয়েছে, সদ্য নির্মিত নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উন্মাদনা ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের তিন ভেন্যুতে হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ।

যুক্তরাষ্ট্রের যে ৩টি ভেন্যুতে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো হবে, সবচেয়ে বেশি ৮টি ম্যাচ রয়েছে নাসাউ কাউন্টির মাঠটিতে। অ্যাডিলেড থেকে ড্রপ ইন পিচ এনে মাঠে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া দুই ম্যাচের কোনোটিতেই প্রথম ইনিংসে একশ রান ছুঁতে পারেনি কোনো দল। মাত্র ৫ মাসে তৈরি হওয়া স্টেডিয়ামের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হয়।

যেখানে নিজেদের সর্বনিম্ন ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। মাত্র ৩টি করে চার ও ছক্কা হয় দুই ইনিংস মিলিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ভারত ১৬ ওভারে তাদেরকে ৯৬ রানে অলআউট করে। দুই ম্যাচেই পেসারদের দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। বলে সিম মুভমেন্ট ছিল। উইকেট ছিল মন্থর। অসমান বাউন্স আর স্লো আউটফিল্ডের কারণে রান ছোটেনি। তাতে টি-টোয়েন্টির যে আমেজ তা একদমই পাওয়া যায়নি। নিউ ইয়র্কের স্টেডিয়ামের সমালোচনা করে পাকিস্তানের সাবেক কোচ আর্থার এক্স-এ লেখেন, ‘নিউ ইয়র্কের এই পিচ খুবই বাজে!”

সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন প্রবল সমালোচনা করে লিখেন, ‘খেলোয়াড়দের নিউ ইয়র্কের এই নিম্নমানের উইকেটে খেলতে হবে, তা অগ্রহণযোগ্য।’ এই মাঠে পরবর্তী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। বলা হয়, ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যাচ এই দুই দলের লড়াই। অথচ যে মাঠে খেলা হবে সেই মাঠের এমন বেহাল উইকেট ও মন্থর আউটফিল্ড নিয়ে সমর্থক, বিশেষজ্ঞরা বড় আশা করতে পারছেন না। ম্যাচ সরিয়ে নেওয়ার কথা উঠলেও আইসিসি জানিয়েছেন, কোনো ম্যাচই সরবে না।

এদিকে বিবিসি স্পোর্টস নিশ্চিত করেছে, ভারত প্রথম ম্যাচের পর গোপনে নিজেদের অসন্তোষ আইসিসিকে জানিয়েছে। বিশেষ করে উইকেট দুই রকমের পেস এবং অসমান বাউন্সের বিষয়টি। ভারত পাকিস্তান ম্যাচে ৩২ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকবে। তাদের সামনে আরেকটি ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচের জন্য আইসিসি মোটেও প্রস্তুত নয়। তবে এই ম্যাচটি হবে অব্যবহৃত উইকেটে। তাই ভালো কিছুর আশা করছে আয়োজকরা।

বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছেন, ‘নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত পিচগুলো আমরা সবাই যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে ধারাবাহিকভাবে খেলা হয়নি। বিশ্বমানের গ্রাউন্ডস বিভাগ গতকালের খেলা শেষ হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি সামলে উঠতে এবং বাকি ম্যাচগুলির জন্য সম্ভাব্য সেরা উইকেট সরবরাহ করতে কঠোর পরিশ্রম করছে।’