টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান আসরে পাকিস্তানকে সুপার ওভারে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেছে আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন ও ২০২২ সালের আসরের ফাইনালিস্টদের হারিয়ে অঘটন ঘটিয়েছে স্বাগতিকরা। বিশ ওভারের মহারণে এর আগেও এমন কয়েকটি অঘটন হয়েছে। সেগুলোর দিকে আলোকপাত করা যাক।
নেদারল্যান্ডসের কাছে ইংল্যান্ডের পরাজয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম চমক ছিল ২০০৯ সালের আসর। সেই আসরে উদ্বোধনী ম্যাচেই ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় আনকোরা নেদারল্যান্ডস। লর্ডসে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শেষ বলে জিতে ইতিহাস গড়ে নেদারল্যান্ডস।
২০০৯ সালের ৫ জুন অনুষ্ঠিত হওয়া সেই ম্যাচে লুক রাইটের ৪৬ বলে ৭১ রানের ইনিংসে ভর করে ২০ ওভারে ১৬২ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে রায়ান টেন ডোশাটে এবং পিটার বোরেনের দুটি ইনিংসে ভর করে ম্যাচ জয়ের কাছাকাছি চলে যায় নেদারল্যান্ডস।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য নেদারল্যান্ডসের দরকার ছিল ৭ রান। প্রথম ৫ বলে ৫ রান তুলে নেদারল্যান্ডস। তাতে শেষ বলে দরকার হয় দুই রান। ব্রডের শেষ বলে ২ রান নিয়ে ইতিহাস রচনা করে ডাচরা।
নামিবিয়ার কাছে ধরাশায়ী শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে আরেকটি অঘটন ছিল ২০২২ সালের আসরে নামিবিয়ার কাছে শ্রীলঙ্কার পরাজয়। ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হারায় নামিবিয়া।
প্রথমে ব্যাট করে জ্যান ফ্রাইলিংকের ৪৪ ও জেজে স্মিটের অপরাজিত ৩১ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের সংগ্রহ পায় নামিবিয়া। জবাব দিতে নেমে মুখ থুবড়ে পড়ে লঙ্কান ব্যাটাররা। ১৯ ওভারে ১০৮ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। আর ঐতিহাসিক জয়ে ইতিহাস গড়ে নামিবিয়া।
অস্ট্রেলিয়াকে চমকে দিলো জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই ঘটে যায় অঘটন। যে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে কাঁদিয়ে ছাড়েন জিম্বাবুয়ের ২১ বছর বয়সী ব্রেন্ডন টেলর। পরবর্তীতে যিনি হয়ে উঠেছিলেন দেশটির কিংবদন্তি।
ম্যাচে কেপটাউনে আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ের বোলারদের বিপক্ষে ১৩৮ রানের বেশি করতে পারেনি রিকি পন্টিংয়ের দল। জবাব দিতে নেমে টেলরের অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংসে ভর করে ১ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে।
আফগানদের কাছে চ্যাম্পিয়নদের ভরাডুবি এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে আফগানিস্তান ক্রিকেটে আগমন করেছে নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়ে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেটা আরেকবার দেখিয়ে দিলো তারা। ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়নদের ৬ রানে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করে মোহাম্মদ নবীর দল।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাটে ভর করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান করে আফগানিস্তান। দলের বিপর্যয়ে নেমে নজিবুল্লাহ ৪০ বলে চারটি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ রান করেন।
জবাবে আফগান বোলারদের সুশৃঙ্খল বোলিং লাইনের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ১০ রান। তবে মোহাম্মদ নবীর ওভার থেকে ৩ রানের বেশি নিতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই সঙ্গে হারাতে হয় কার্লোস ব্রাথওয়েটের উইকেট।