খেলাধুলা

সর্বনিম্ন রানের লজ্জা উগান্ডার, রেকর্ড গড়া জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের

বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে এসে পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল উগান্ডা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অন্তত লড়াই করবে, সেই আশা ছিল। তবে লড়াইয়ের ধারেকাছেও যেতে পারলো না ব্রায়ান মাসাবার দল। আকিল হোসেনের ফাইফারে স্রেফ উড়ে গেছে তারা। আউট হয়েছে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে। তাতে ১৩৪ রানের রেকর্ড গড়া জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউটের যৌথ রেকর্ডে ভাগ বসালো উগান্ডা। এর আগে ২০১৪ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসও অলআউট হয়েছিল ৩৯ রানে।

স্বাগতিক উইন্ডিজের জয়টা ১৩৪ রানে। টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসেবে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা জয়। আর বিশ্বকাপের হিসেবে দ্বিতীয় সেরা জয়। ২০০৭ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা জিতেছিল ১৭২ রানে। যেটা এখনো সর্বোচ্চ।

রোববার (৯ জুন) গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় নৈপুণ্যে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাব দিতে নেমে আকিলের তোপে শুরু থেকেই উইকেট হারিয়ে ৪৮ বল বাকি থাকতে মাত্র ৩৯ রানেই গুটিয়ে যায় উগান্ডা।

১৭৪ রানের লক্ষ্য উগান্ডার জন্য পাহাড়সম। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রান পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে মাসাবার দল। বল হাতে ঘূর্ণি জাদুতে উগান্ডিয়ানদের দিশেহারা করে ফেলেন আকিল। তাতে একমাত্র জুমা মিয়াগি (১৩) দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন। বাকিদের রান সংখ্যা দিয়ে মোবাইল নম্বর সাজালে দাঁড়ায় - ০৪৬৫১৩০১১০!

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১১ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন আকিল। বাকিদের মধ্যে আলজারি জোসেফ ২ এবং রোমারিও শেফার্ড, আন্দ্রে রাসেল ও গুদাকেশ মোতি নেন ১টি করে উইকেট।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেন দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও জনসন চার্লস। পঞ্চম ওভারের মাথায় কিং ৮ বলে ১৩ রান করে বিদায় নেন। এরপর নিকোলাস পুরান এসে ১৭ বলে ২২ রানের ইনিংস খেললেও ডটের মেলা বসিয়ে দেন। সেই ধারা থেকে বাকিরাও আর বের হতে পারেননি।

এরপর উগান্ডার বোলিংয়ের সামনে হাত খোলারই সুযোগ পাননি ক্যারিবীয় ব্যাটাররা। জনসন চার্লস (৪৪), রভম্যান পাওয়েল (২৩) ও শেরফান রাদারফোর্ড (২২) কাউকেই খোলসের বাইরে বের হতে দেয়নি ন্রায়ান মাসাবার দল। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ক্যারিবীয় ঝড় আটকে দেয় তারা।

শেষদিকে আন্দ্রে রাসেলের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। শুরুতে ধীরেগতিতে রান করলেও পরে সময়ের দাবি মেটান এই ক্যারিবীয় তারকা। তার ১৭ বলে ৩০ রানের ইনিংসে ভর করে বড় সংগ্রহ পায় দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। রাসেলের ইনিংসে কোনো ছক্কা না থাকলেও ছিল ৬টি চারের মার।

উগান্ডার পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন আলপেশ রমজানি, কসমস কেউয়াটা ও দীনেশ নাকরানি।